কলকাতাঃ আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ফাঁকা এজলাসে এই দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মন্তব্য, ‘যারা এসব বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক।’ এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Court) মানিক জানান, ‘আমার ৬৬০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট আছে যাদবপুরে। পরে ১১০০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। আর নদীয়ায় বাড়ি আছে। এসব তথ্য আমি ইডিকে (ED) দিয়েছি।’
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল প্ৰাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্ৰাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে(Manik Bhattacharya)। আদালতের থেকে বেরিয়ে গ্ৰেফতারের পর এই প্ৰথম সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তিনি।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১১ অক্টোবর গ্ৰেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে(Manik Bhattacharya)। তাঁর গ্ৰেফতারের পর থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এই পরিবেশে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ মামলার শুনানিতে মানিক প্ৰসঙ্গে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন।
বিচারপতির সেই বক্তব্যের পর মঙ্গলবার আদালতে মানিক(Manik Bhattacharya) বলেন- ১৯৮৯ সালে যাদবপুরে একটা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। পরিবার বড় হওয়ার পর বড় ফ্ল্যাট নেওয়া হয়। এ ছাড়া নদিয়াতে বাড়ি আছে। তিনি CBIকে সবই জানিয়েছেন।
তাঁর লন্ডনে বাড়ি নেই, আদালত থেকে বেরিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় ছিলেন মানিক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর মানিকের এহেন মন্তব্য এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এদিন কোর্ট থেকে জেলে যাওয়ার পথে এবিষয়ে সরব ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘আমার লন্ডনে বাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বাড়ি নেই। আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, নেই, নেই। যদি থাকে আমার ফাঁসি হোক। আপনাদের একটা অনুরোধ একটু জেনে নিয়ে খবর করবেন।’
এদিকে জানা গিয়েছে, জেলে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় আহত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে বুকে, পায়ে আঘাত লেগেছে তাঁর। জেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে।