কলকাতা: একসময় আন্দোলনে নেমেছিলেন, সেই আন্দোলনের কথা গোটা ভারত জানে এ বিষয় নিয়ে, এখনো মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েগুলো কথা বলে, কষ্ট পায়। রতন টাটাকে (tata) গোটা দেশ ঈশ্বরের মতো মানে, সেই টাটার (tata) কাছেই এবার নত পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বাম আমলে সিঙ্গুরে টাটার (tata)পা পড়েছিল ন্যানো গাড়ির কারখানা খোলার সূত্রে। কিন্তু সেসময় আন্দোলনে নামেন আজকের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
যে ভালো কাজটা হতে যাচ্ছিল সেটা তীব্র বাধার মুখে পড়ল। আর এই ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পড়ে টাটা (tata) তাঁদের গোটা পরিকল্পনা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়, চলে যায় পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে। অবশ্য টাটাদের (tata) ক্ষতি হয়নি কিছুই, যা ক্ষতি হয়েছে সব বাংলার ছেলে মেয়েদের হয়েছে।
বেকারত্ব ঘরে ঘরে, কাজ নেই, চাকরি নেই। এই অবস্থায় অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপ ভাজার, আরো অনেক ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছেন!
তবে কাল্পনিক কথায় পেটে ভাত জোটে না। সেই ঘটনা পরম্পরায় অনেকগুলি দিন চলে গেছে। সময় পার হয়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে, আজও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করা হয় টাটাকে (tata) ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
তবে এবার পশ্চিমবঙ্গে আবার টাটা আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে বাংলায় বিশাল বিনিয়োগ হয়েছে। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে টাটা মেটালিকস এর সম্প্রসারিত ইউনিটের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংস্থায় পশ্চিমবঙ্গের ছেলেমেয়েদের কাজ পাওয়ার কথা তিনি বলেন। খড়্গপুরের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করা। তিনি বীরভূমের দেউচা পঁচামি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।
অবশ্য টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে এখনও এই ব্যাপারে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।