নয়াদিল্লি: মহালয়ায় যোগ দিয়েছিলেন লেখক তসলিমা নাসরিন। তবে সেটা দিল্লিতে। কলকাতার দুর্গা পুজোকে তিনি বেশি ভালোবাসেন। পছন্দ করেন সেখানকার পুজো। কিন্তু সেখানেই তিনি নিষিদ্ধ। সেই আফসোস করলেন তসলিমা পুজোর আগে।
লিখলেন, “কলকাতার পুজো দেখতে আমি খুব পছন্দ করতাম, এর একটিই কারণ, আর্ট। মণ্ডপে দেখতে পেতাম আশ্চর্য সুন্দর ইমাজিনেশান এবং ইমোশান। আমি দেব দেবীতে বিশ্বাস করি না, আমি পুজো করি না।
কিন্তু আমি আর্টে বিশ্বাস করি, আমি শিল্পের পুজো করি। এ ক’দিনে এক বন্ধুর কল্যাণে কলকাতার বেশ কিছু মণ্ডপের এবং দুর্গামূর্তির ছবি দেখার সুযোগ হলো। বাগুইয়াটি রেইলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাব, নিউ টাউন সর্বজনীন, এফ ডি ব্লক সল্ট লেক, মিলন মেলা সমিতি কাঁকুড়গাছি, বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী, দমদম যুবক বৃন্দ, দম দম পার্ক সর্বজনীন, দম দম তরুণ দল, দম দম পার্ক ভারতচক্র, অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাব, লেক টাউন, হাতিবাগান নবীন পল্লী, নলিনী সরকার পুজো, চোরবাগান সর্বজনীন—–।
মুগ্ধ হয়ে শুধু দেখলাম। দুর্গাকে শিল্পীর চোখ দিয়ে দেখছি। কয়েকদিন আরও দেখবো। পুজোর উৎসবের চেয়ে কলকাতার এই শারদীয়া উৎসব আমার চোখে অসাধারণ সব শিল্পের উৎসব। আর্ট গ্যালারিগুলো বছরে একবার তাদের আর্ট প্রদর্শন করে ইণ্ডিয়া আর্ট ফেয়ারে। নতুন আর্ট দেখার আগ্রহ আমার এমন, আমি যেখানেই থাকি, ওকলায় সেই আর্ট ফেয়ার দেখতে ছুটে আসি।
কলকাতার এই পুজোর আর্ট ফেয়ারে আমি ছুটে যেতে পারছি না। আমার হাতে শেকল, পায়ে শেকল। কী অন্যায় করেছি আমি? কিছু ভাল কথা, কিছু সত্য কথা লিখেছি– এ আমার অন্যায়। নারীর স্বাধীনতার কথা লিখেছি, মানবাধিকারের পক্ষে লিখেছি, – আমি নিশ্চয়ই অপরাধী”।