কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে অস্থির।দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেও অনুব্রতের পাশে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সেটা স্পষ্টও করে দিয়েছেন তিনি।রবিবার তা স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতি প্রথম থেকেই তৃণমূলের আঙুল উঠে আছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
ছাড়েননি শুভেন্দুও। বললেন, ‘প্রস্তুত হোন। তাছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষাই অশ্লীল, তাহলে রাজ্য শিক্ষিত হবে কিভাবে? বিরোধী তো আরো আছে, কিন্তু কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে তুই তুকারি সম্বোধন করেন না। যা মমতার মুখে শোনা যায়। বহুবার তাঁর মুখে এহেন ভাষা শোনা গিয়েছে। যা খুবই লজ্জাজনক, বলছেন জনগণ।
’মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারী সোমবার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে তুই বলছেন। আর আমাকে যা বলেছেন তার উত্তর আমি ঠিক সময়ে সুদে, আসলে কমপার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রীকে দেব। অপা সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে। কেষ্টও জেলে গেছে। ভাইপোর সময় আসছে। প্রস্তুতি নেন, তৈরি হোন।’
উল্লেখযোগ্য যে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার বেহালার সভায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভীষণ ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। ভয় পাচ্ছেন তিনি, এটা স্পষ্ট। জানতে চান, ‘কি ভয় লাগছে? কাল যদি আমার বাড়িতে যায়, আপনারা কী করবেন? রাস্তায় নামবেন তো?’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র এই মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাস্তায় নামার করা আগেই কেন বলে দিলেন তিনি? বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জী বলেছেন আমার বাড়িতে আসলে তোমরা নামবে তো। মমতা ব্যানার্জী পিছনে ঘুরে দেখবেন আপনার কথাতে ববি, অরূপও থাকবে না।’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ওদের এজেন্সিতে কিছু লোককে টাকা দিয়ে পোষে। তারা প্রথম থেকে শুধু বদনাম করে। পরে কিন্তু জিরো, কেসে কিছুই হল না। জেনে রাখুন ২০২৪-এ বিজেপি আর জিতবে না। তাই বলি দুর্বল হবেন না, এদের বিচার জনগণের আদালতে হবে। এক কেষ্টকে ধরলে লক্ষ কেষ্টরা রাস্তায় তৈরি হবে।’