অসমের পর আত্মহত্যা শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মূল কারণ এনআরসি। বাংলায় নাগরিকতালিকা হবে শোনার পর থেকেই আতংকে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ।
১৯৭১ সালের নথি খুঁজতে গিয়ে জনগণের জীবন নির্বাহ করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সোলাদানা গ্রামের কামাল হোসেন ১৯৭১ সালের পূর্বে জমির দলিল পাচ্ছিলেন না। ফলে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। রাষ্ট্রহীন হবার ভয় কুরে কুরে খাচ্ছিল তাঁকে। সর্বশেষ, ঘর থেকে কামালের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশ নয়, চিরজীবনের জন্যে জগত ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ফলতার মামুদপুরে। গেরুয়া শিবিরের সমস্ত মেধাবী নেতা-নেত্রীদের মুখে এনআরসির খবর শোনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কালাচাঁদ মিদ্যা। সপরিবারে রাষ্ট্রহীন হওয়ার ভয়ে আত্মহত্যা করেন!
মৃত দুই পরিবারের দাবি, ক’দিন ধরেই আধার কার্ড, রেশন কার্ড প্রভৃতি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ১৯৭১ সালের আগের কাগজ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাঁদের মৃত্যুর জন্যে দায়ী এনআরসি।
উল্লেখযোগ্য, ৪ সেপ্টেম্বর তারিখে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে অসমের হাইলাকান্দির স্টেশন রোড সংলগ্ন ১নং ওয়ার্ড এলাকায়। চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় পরিবারের নাম থাকলেও ছিল না সাবিত্রী দেবীর নাম। আতংকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করেন তিনি!
রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু বিষয়ক দফতর থেকে এ বিষয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেও আগামি দিনে এনআরসি পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটাই দেখার।