শরীরে উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর। একের পর এক হাসপাতালে ঘুরেছেন ওঁরা। না কোন হাসপাতাল তাঁদের ভর্তি করেনি। অবশেষ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন পরিবারের ৩ জন।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার ঠাকুরপুকুরে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যবিভাগের বিপক্ষে এমনই সব ভয়ংকর তথ্য উঠে আসছে দিনে দিনে!
চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উত্তেজিত ঠাকুরপুকুর সত্যনারায়ণপল্লি।
করোনা রোগিকে যে মধ্যযুগের কুষ্ঠরোগিদের মতো চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে থাকল কলকাতা।
৮০ বছরের বাবা স্ত্রী রাণু কর্মকার এবং প্যারালাইসড ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট এবং বিষ পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমরা ৩ জনই মৃত।’
কিন্তু ভয়ানক তথ্যটি হলো, রবিবার ৮০ বছরের বৃদ্ধ রাস্তায় হঠাৎই পড়ে গিয়েছিলেন। এ অবস্থায় প্রতিবেশীরা প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করার পর পুলিশ একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়!
শহর কলকাতা পুলিশ কিন্তু করোনা রোগিকে রীতিমতো ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। তা প্রমাণ হয়ে গেল। এ নিয়ে মুখ খোলেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
প্রশ্ন উঠছে, ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ছিল জড়। কারণ তাঁরা করোনা উপসর্গ রোগিদের এতগুলো হাসপাতাল না ঘুরিয়ে সরাসরি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি। এদিকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি জানিয়ে দেয়া হয়েছে করোনার কোন উপসর্গ নেই তাঁদের গায়ে। অন্যদিকে, পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স থেকে স্ট্রেচারে করে অসুস্থ ৩ জনকে বাড়ি পৌঁছে দেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই!
এছাড়াও ৮০ বছরের গোবিন্দবাবু বহুদিন ধরে কর্মহীন রয়েছেন, স্ত্রী পক্ষাঘাতগ্রস্ত,ছেলেও তাই! এর ওপর করোনা রোগের মতো একটি মানসিক চাপ! সবদিক মিলিয়ে এমনটাই পরিস্থিতিতে ছিল ঐ পরিবার।
প্রতিবেশিরা জানাচ্ছেন, তাঁরা সবরকম দায়িত্ব পালন করেছেন গোবিন্দবাবুদের জন্যে। সেখানে পুলিশের কোন ভূমিকা নেই।
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।