কেউ জীবনে বেঁচে থাকার জন্যে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান, আবার কেউ সামান্য আঘাতে ভেঙে গুড়োগুড়ো হয়ে যান!
এমনই আঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন মাত্র ২৩ বছরের বাঙালি অভিনেত্রী সুবর্ণা যশ। রবিবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি!
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের মোহনবাগে।
সুবর্ণার স্বপ্ন ছিল মেগা সিরিয়ালে অভিনয় করার। বহু চেষ্টা করেও সে সময়টা ধরতে পারেননি বলে নিজেকে চিরতরে শেষ করে দিলেন।
মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিল সুবর্ণা। মেয়ের মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে পরিবার।
সূত্রে জানা গেছে, অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংও করতেন তিনি। কিন্তু সেখানেও তাঁর মনের মতো কাজ পাচ্ছিলেন না।
একদিকে মেগা সিরিয়ালে কাজ না পাওয়া অন্যদিকে মডেলিংয়েও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারা।
ক্যারিয়ার; জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চিন্তা ধীরে ধীরে তাঁকে ঠেলে দেয় অবসাদের দিকে। শেষপর্যন্ত সেই অবসাদ থেকেই মৃত্যু।
সুবর্ণা যশ কলকাতায় সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশুনা করার পাশাপাশি টালিপাড়ায় অভিনেত্রী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। বেশ কিছু সিরিয়ালে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতেন।
দর্শক মনে করতে পারবেন, ময়ূরপঙ্খী সিরিয়ালে নায়িকার বান্ধবীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুর্বণাকে। কিন্তু কাজে মন বসছিল না কিছুতেই।
জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান তাঁকে। আত্মীয় বাড়িতে কিছুদিন কাটানোর পর গত রবিবার তিনি বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে আসেন। সন্ধ্যায় বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সময়ই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে পরিবারের দাবি।
বাড়ির লোকরা ঝুলন্ত অবস্থায় অভিনেত্রীর দেহ দেখতে পান। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহ নামিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
# আত্মহত্যা জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া ঠিকই,অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া ঠিকই। কিন্তু বেঁচে থেকে পাহাড়সমান বাধার সঙ্গে লড়াই করে সৎভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আনন্দ এবং পাওনা জীবনে আর কিছু হতে পারে না।