এক দশক নয় এ যেন যুগে যুগে অপেক্ষার অবসান ঘটল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গবাসীর।
১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় চড়া যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল ব্যাপক।
কেউ কেউ নস্টালজিক হয়ে পড়েন রীতিমতো মেট্রোয় উঠে।
মেট্রো মানেই ইচ্ছেপূরণের স্বপ্ন। তাও আবার সে যদি ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে হয় তাহলে তো কথাই নেই।
ঘড়িতে তখন ৭.৫০। সিঁড়ি ধরে স্টেশনে যতটা উঠছেন শুধুই চমক আর চমক যাত্রীদের চোখেমুখে।
চোখ ঝলমল করা এক উন্নতমানের স্টেশন। স্বাভাবতই পরিচিত মেট্রোর এমন ‘নতুন চেহারা’ দেখে ঘাবড়ে গেলেন বেশ কিছু যাত্রী। মুখে প্রশ্ন, কোন দিকে যাবো? এ যে ‘মিনি এয়ারপোর্ট’। পকেট থেকে বের করলেন স্মার্টফোন। ক্লিকের পর ক্লিকে উঠল সেলফি, ভিডিও। অসাধারণ দৃশ্য।
কাঁটায় কাঁটায় তখন ঘড়িতে বাজে ৮.০০। স্ক্রিন ডোর খুলে গেল, খুলল মেট্রোর দরজা।
মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ধীরে ধীরে মেট্রোয় প্রবেশ করলেন যাত্রীরা। বিশ্ব প্রেম দিবসে প্রেমে মশগুল এক-একজন। কথা বলছেন আস্তে আস্তে।
প্রাথমিক ধাপে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চালু করা হচ্ছে এই মেট্রো পরিষেবা। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ নয়া এই মেট্রো লাইনে থাকছে ছয়টি স্টেশন, যথাক্রমে- সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং সল্টলেক স্টেডিয়াম।