যত দ্রুত বিজেপি বিরোধি দলকে একজোট করে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে চড়াও হওয়া যায়, মঙ্গল ততটাই। ভাবছেন মমতা।
মূল উদ্দেশ্য সামনে রেখে তাই একদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
শনিবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন রাঁচি। গতকাল রবিবার ছিল শপথ অনুষ্ঠান। সেখানে ভালোই জমিয়ে তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
রাঁচিতে ওই শপথ-মঞ্চে রাহুল গাঁধী তো ছিলেনই পাশাপাশি অন্যতম মুখ্য চরিত্র ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধী দলকে এক তালে তাল মেলানোর জন্যে, এবং প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা, সে চিঠির জবাব দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধী।
এদিন রাঁচিতে উপস্থিত ছিলেন না সোনিয়া। চিঠি লিখে মমতার হাতে হাত মিলিয়ে জানিয়ে দিলেন সিদ্ধান্ত।
রবিবার দুপুরে রাঁচির মোরাবাদী ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে মধ্যমণি হিসেবে রেখে উপস্থিত ছিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, দক্ষিণের এম কে স্ট্যালিন, কানিমোঝি, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাগেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, শারদ যাদব, সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং বিহারের তেজস্বী যাদবের মতো বিরোধী ‘মুখ’।