জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। সাত দশকের ইতিহাস পাল্টে ভারত সরকার বাতিল করে দিল সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা দিয়েছিল। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হয়েছে নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না। থাকবে না জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই, স্বপ্ন পূরণ হল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর। শেখ আব্দুলা এবং জহরলাল নেহরুর চক্রান্তের অবলুপ্তি ঘটল ৫ আগস্ট,২০১৯। বাঙালির গর্ব, সারা ভারতের গর্ব শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর আত্মা চিরশান্তি লাভ করেছে ভারত সরকারের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে।
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর এই ঐতিহাসিক ঘোষণার পর মন্ত্রী তথাগত রায় টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেনঃ
শেখ আব্দুল্লা আর চাচা নেহরুর কুচক্রান্তে অবহেলায় অচিকিৎসায়, সম্ভবত বিষপ্রয়োগে, যে মহাপুরুষের মাত্র ৫২ বছর বয়সে জীবনাবসনে হয়েছিল আজ তাঁর আত্মা তৃপ্তি পেল | প্রণাম, হে মহামানব ! https://t.co/QMN7eBSSMf
— Tathagata Roy (@tathagata2) August 5, 2019
রাম মাধব ট্যুইট করে লিখেছেনঃ “আজ ভারতীয়দের জন্যে অনেক গর্বের দিন। অবশেষে আজ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীসমেত হাজার হাজার শহীদদের জম্মু কাশ্মীরের পূর্ণ বিলয়ের স্বপ্ন পূরণ হল, আর দেশে জনতার সাত দশক থেকে ওঠা দাবি আজ সম্মান পেলো। এটা কি কেউ কখনো ভেবেছিল”?
What a glorious day. Finally d martyrdom of thousands starting with Dr Shyam Prasad Mukharjee for compete integration of J&K into Indian Union is being honoured and d seven decade old demand of d entire nation being realised in front of our eyes; in our life time.Ever imagined??
— Ram Madhav (@rammadhavbjp) August 5, 2019
শ্রদ্ধেয় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখার্জীর সুযোগ্য সন্তান। একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ,রাজনীতিবিদ,একনিষ্ঠ সমাজ সেবক এবং সর্বোপরি একজন ভারতের জাতীয়তাবাদী অখন্ডতার প্রতীক। তিনি কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা সম্পর্কে বলেছিলেন, “EK DESH MEIN DO VIDHAN, DO PRADHAN AUR DO NISHAN NAHI CHALLENGE” ।
তাই তিনি ১৯৫৩ সালে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু ভারত থেকে কাশ্মীরে প্রবেশের আদেশ না থাকার অপরাধের জন্যে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আব্দুলার নির্দেশে ডাঃ মুখার্জীকে ১১ মে ১৯৫৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। শেষে রহস্যময় পরিস্থিতিতে এই মহান আত্মার প্রয়াণ ঘটে।