২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল হত্যা করা হয়েছিল শিনা বরাকে। কিন্তু এর ৬ মাস পরও বেঁচে ছিলেন তিনি! দাবি জানিয়েছেন হত্যায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখার্জি।
জামিন চেয়ে পঞ্চমবারের জন্যে জানানো আবেদনের শুনানি গ্রহণের সময় আদালতে এই দাবি করেন ইন্দ্রাণী।
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিলের ৬ মাস পরও শিনা বরা তাঁর প্রেমিক বন্ধু রাহুলের মধ্যে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও মেসেজ আদান-প্রদান করেছিলেন।
আদালতে ইন্দ্রাণী জানান, “শিনার হত্যার অভিযোগ আমার ওপর পড়েছে। কিন্তু প্রমাণ বলছে যে ২০১২ সালের ২৬, ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বরে তিনি বেঁচে ছিলেন এবং রাহুল মুখার্জির সঙ্গে ছিলেন।”
ইন্দ্রাণী ২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখের মেসেজ পড়েও শোনান। একটিতে রাহুল বলছে, “আমি কার পার্কে আছি, চলে এসো।”
ইন্দ্রাণীর দাবি অনুযায়ী, এর প্রত্যুত্তরে শিনা লিখেছে, ‘৫ মিনিট দাঁড়াও।’ এরপর রাহুল নাকি লিখেছে, ‘তাড়াতাড়ি করো।’
ইন্দ্ৰাণীর দাবী, শিনা বরাকে যেদিন হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে, তার ৬মাস পরের ঘটনা এটি।
এর থেকে বোঝা যায় যে, উদ্ধার হওয়া দেহ (সিবিআই দাবি করা শিনার দেহের দুটো অংশ)র সঙ্গে শিনার কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়া ইন্দ্রাণী আরো দাবি জানান যে, সে সময় তিনি ইংল্যাণ্ডে ছিলেন।
আদালতে এই বিষয়টি আরো একবার মায়াজাল সৃষ্টি করা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।