Article 370 had to go. Sharia law or Islamic law should go too. The method that was used to abolish 370 is actually much more needed to abolish anti-women sharia law and to establish a Uniform Civil Code based on equality.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) August 17, 2019
জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ স্বাধীনতার আস্বাদ পেয়েছে জীবনে প্রথমবার। ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর পুনর্জন্ম হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের।
‘এক দেশ, এক প্রধান’ করে দেখিয়েছে ভারত সরকার। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সেখানে পালিত হল ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস।
লেখিকা তসলিমা নাসরিন ৩৭০ ধারার বিলোপের পক্ষে সুর মিলিয়ে এবার চাইছেন, একই প্রক্রিয়াতে ‘ইসলামিক ল’ বা মহিলা-বিরোধী শরিয়া আইনও তোলার ব্যবস্থা করা হোক।
তিনি বরাবরই সোজা ভাষায় নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করে থাকেন। তাতে যেমন প্রচণ্ড সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়, তেমনই সমর্থনও লাভ করে থাকেন। অবশ্য কোন সমালোচনাই তাঁকে আজ পর্যন্ত দমাতে পারেনি। তা তাঁর লেখার শাণিত কলমের লেখা পড়লেই বোধগম্য হয়।
তিনি টুইটারে পোস্ট করেছেনঃ
“৩৭০ ধারার মতো অস্থায়ী আইন উঠে যাওয়ারই ছিল। শরিয়া আইন বা ইসলামিক আইনও তুলে দেওয়া উচিত। যে প্রক্রিয়ায় ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি সম্ভব হয়েছে, তা মহিলা-বিরোধী শারিয়া আইন সরানোর জন্যও প্রয়োজন। প্রত্যেকের জন্য সমান আইন হওয়া জরুরি।”
বাংলাদেশি লেখিকা নাসরিন সমাজে নারী-পুরুষের সমতা আনয়নের জন্যেই হোক কিংবা কাশ্মীর ইস্যু। উদাত্ত কণ্ঠে মনের ভাব প্রকাশ করতে কখনোই পিছপা হন না। এবারও হননি।
তসলিমার মতো স্বাধীন মানসিকতার মানুষ কখনোই চাইবেন না, ধর্মের নামে একই দেশে ভিন্ন আইন থাকুক।মুসলিম পার্সোনাল ল অ্যাপ্লিকেশন আইন, ১৯৩৭-কেই বোঝাতে চেয়েছেন লেখিকা। সমাজে বিয়ে থেকে শুরু করে বহু সামাজিক বিষয়ে এই আইনই মেনে চলে মুসলিম সম্প্রদায়। তবে যাঁরা স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৯৫৪-র নিয়মে বিয়ে করেছেন, তাঁরা এই আইনের আওতায় পড়েন না।
তসলিমার এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কট্টরপন্থীদের। সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও অনেকে তসলিমার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্যের সমর্থন করেছেন, এবং আশা প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন।
প্রসঙ্গত, ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ছাড়া তসলিমা নাসরিনের রয়েছে ভারতের প্রতি অগাধ ভালবাসা। স্বাধীনতা দিবসের দিন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না তিনি। হাসি মুখে নয়া দিল্লির বাড়ির ছাদে তেরঙা পতাকা ওড়ালেন চিরদিনের স্বাধীনতাকাংক্ষী লেখিকা।