কলকাতা: দুই দুই হেভিওয়েট নেতা গ্রেপ্তার পশ্চিমবঙ্গে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। পশ্চিমবঙ্গে এখন শুধু দুর্নীতির খবর। দশবার সিবিআইকে এড়িয়ে অবশেষে নিজের বাড়ি থেকেই আটক হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), পরবর্তীকালে গ্রেফতার।
আর এবার ফের অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যে শাসক দলের কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দিলেন। ‘অনুমাধব’ আক্রমণ রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh)।
তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে পরোক্ষে কটাক্ষ করে রুদ্রনীলের ‘অনুমাধব’ প্যারোডি আগে জনপ্রিয় হয়েছিল। রাখিবন্ধনের দিনে বীরভূমের ‘কেষ্ট’র গ্রেফতারির খবর পেয়ে রুদ্রনীল প্রশ্ন করেছিলেন, “অনুমাধব অনুমাধব তোমার বাড়ি যাব। আজ রাখির দিনে রাখি কি কেউ পাবো?”
‘অনুমাধব দুই’ শোনালেন রুদ্রনীল। তীব্র আক্রমণ করে গেলেন টানা। রস ধরে রাখতে পারেন তিনি। শ্রোতা মুখ ফেরায় না। বিদ্রুপ করে তাঁর বক্তব্য, বঙ্গবাসী এবার চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজাবে। গোরুরাও নিশ্চিন্তে মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়াবে। আদালতে সব চোর জোচ্চোররা হাজির হয়েছে সত্যিটা বলতে, কে কতটা ঘাস খেয়েছে।
অনুব্রতর ‘গুড় বাতাসা’ মন্তব্য নিয়ে রুদ্রনীলের সপাটে কটাক্ষ, ‘পুজোর আগেই বঙ্গবাসীর মনে বড্ড আশা, সব ব্যাটাকে যত্ন করে খাওয়াও গুড় বাতাসা’।
উল্লেখযোগ্য যে, কিছুদিন আগে এক সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু সহ তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলায় পক্ষ হয়েছে ইডি। এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূল নেতামন্ত্রীরা দাবি করেন, একা তৃণমূল নয়। আদালতের দেওয়া তালিকায় বাম, কংগ্রেস নেতাদেরও নাম রয়েছে। অর্থাৎ সাফাই।
রুদ্রনীল ঘোষের পরোক্ষে আক্রমণ, হারাধনের দুটি ছেলে একা হয়ে পড়েছে। যাদের জন্য চুরি করা তারাই কিনা এখন চোর বলছে! অন্যদিকে বাকি আটটি ছেলে মায়ের কথায় ন্যাকা সাজছে। মিডিয়া ডেকে বলছে, তারা চোর নয়। অন্য দুজনের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই!
এর আগেও রুদ্রনীল ঘোষ ভিডিওতে বলেছেন, “২১ জুলাই মঞ্চ থেকে বেচলো দিদি মুড়ি, ২২ জুলাই অর্পিতাদের ফ্ল্যাটে কোটি ২০। মুড়ি বেচার টাকা নাকি চাকরি চুরির টাকা, বলি ও দিদিভাই জবাব ও দিন। মালিক তো আপনি একা, ২০ কোটির নোটের পাহাড় দেখল বঙ্গবাসী।
অর্পিতাদের উন্নয়নে আমার দিদি খুশি… পড়লে ধরা বলে এরা সবই নাকি রাজনীতি। গাইছে গজল মানতে হবে এটাই পল্লীগীতি।”রুদ্রনীল বললেন, ‘‘২০ কোটির নোটের পাহাড় দেখল বঙ্গবাসী, অর্পিতাদের উন্নয়নে আমার দিদি খুশি৷’’