কলকাতা: আজ ৩১ আগস্ট ঋতুপর্ণ ঘোষের (rituparno ghosh) জন্মদিন। বাংলাদেশের লেখক তসলিমা নাসরিন (Taslima nasrin) বেশ কিছু কথাই লিখেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষকে (rituparno ghosh) নিয়ে। যদিও লেখাটি আগের, তবে ফের শেয়ার করেছেন তসলিমা (Taslima nasrin)।

লেখাটি চিরসত্য হয়ে থাকবে। তসলিমা নাসরিন (Taslima nasrin) লিখেছেন:
“বাংলার মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষিত মানুষ, ইতিমধ্যে শিখে নিয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার কাকে বলে। সোমনাথ যখন মানবী হয়েছেন, তাঁকে কেউ আর সোমনাথদা বলে ডাকেন না, ডাকেন মানবীদি বলে।
ঠিক যেমন ব্র্যাডলি ম্যানিংকে আমরা চেলসি ম্যানিং বলি, হি বলি না আর, শি বলি। দুঃখ এই, ঋতুপর্ণ ঘোষ, সুপরিচিত ট্রান্সজেন্ডার, ভেতরে ভেতরে তো মেয়ে ছিলেনই, এত চেষ্টা করেছেন বাইরেও মেয়ে হতে, সমাজের নানা কটূক্তি শুনেও মেয়ের মতো সেজেছেন, মেয়েদের পোশাক পরেছেন, এমন কী সেক্স চেঞ্জ করার জন্য হরমোন নিয়েছেন, সার্জারিও সম্ভবত করেছেন, তারপরও মানুষ , এমন কী কাছের লোকগুলোও, তাঁকে ঋতুদা বলে ডেকেছেন।

হি বলেছেন, শি বলেননি। তাঁর স্বপ্ন ছিল সবার ঋতুদি হওয়ার। স্বপ্ন পুরণ হয়নি তাঁর। আজ তাঁর জন্মদিনে আমি তাঁকে ঋতুদি (ritu di) বলে ডাকছি। তুমি নেই ঋতুদি, কিন্তু তুমি আছো, আমাদের হৃদয়ে আছো”।
আসলেই ঋতুপর্ণ (rituparno ghosh) শুনতে চাইতেন ঋতুদি। তসলিমা (Taslima nasrin) তাই ডাকলেন ঋতুদি বলেই।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষের আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) ৫৮তম জন্মদিন। ১৯৬৩ সালে আজকের দিনেই কলকাতায় জন্ম হয় ঋতুপর্ণর (rituparno ghosh)। ২০১৩ সালে অকাল প্রয়াণ ঘটে তাঁর।বাঙালি হারায় এক গুণী শিল্পীকে।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৯২ সালে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘হিরের আংটি’র চলচ্চিত্রায়নের মাধ্যমে প্রবেশ করেছিলেন বাংলা সিনেমা জগতে Rituparno Ghosh।