পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ঝাড়ফুঁকের কবলে পড়ে মোল্লার ধর্ষণের শিকার হলেন গৃহবধূ । অভিযুক্ত গুনিনের নাম হামিদ মোল্লা । ফুং-ফাং এই মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ ।
সমাজ এখনো গুনিন-ঝাড়ফুঁকের মুঠি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেনি । একবিংশ শতাব্দীতেও কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত এই সমস্ত মোল্লা/বাবার কাছে যাচ্ছেন জলপড়া, একটু ফু-য়ের আশায় । আর ফিরছেন নির্যাতিতা হয়ে ।
বাটপাড় মোল্লারা একদিকে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন ঈশ্বর বলে, অন্যদিকে তাঁদের এই সমস্ত কু-সংস্কারমূলক ভাবনার বশবর্তী হচ্ছেন মহিলা-পুরুষ সকলে ।
মোল্লা বা ভেকধারী বাবারা খোদার ওপর খোদকারি করে চলেছেন প্রতিনিয়ত ।
ঐ গৃহবধূর সন্তান বেশ কয়েকদিন যাবৎ অসুখে ভুগছিলেন । সন্তানকে একমাত্র বাঁচাতে পারেন সেই মোল্লা। এই ভাবনা নিয়ে তিনি শুক্রবার দুপুরে মাকে সঙ্গে নিয়ে কাটাডাঙ্গা গ্রামে হামিদ মোল্লার বাড়িতে যান।
গুনিন সন্তানকে ভাল করে দেবার আশ্বাস দিয়ে মাকে ভেতরের ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন । শুধু তাই নয়, রীতিমতো ঐ গৃহবধূকে হুমকিও দিয়েছেন যে, যদি এই কথা জানাজানি হয়, তাহলে তাঁর সংসার এবং সন্তানকে শেষ করে দেয়া হবে ।
সন্তানের মা সমস্ত ভয় উপেক্ষা করে হামিদ মোল্লার বিরুদ্ধে কাশিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে কাটাডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি থেকে হামিদকে আটক করে পুলিশ ।
গতকাল শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তকে। গুনিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছে পুলিশ ।