দীর্ঘ ইঁদুর দৌড়ের পর অবশেষে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। আজ আর কোন ছলনা নয় । নির্দিষ্ট সময়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরা দেন তিনি।
সকাল ১১ টা নাগাদ তিনি সিবিআইর সামসামনি হন । সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্নবাণে জর্জরিত হবেন আজ রাজীব কুমার ।
সারদা কাণ্ড ছাড়াও তাঁকে অন্যান্য চিটফান্ড মামলা বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। বয়ান রেকর্ড করা হবে ।
রাজীব কুমারের অভিনয় কম নয় । ২০১৩ সালে চিটফান্ড কাণ্ড সামনে আসার পর রাজীব কুমারের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে।
সেইসময় রাজীব কুমারের কী ভূমিকা ছিল, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে কী কী নথি উদ্ধার হয়েছিল, সে বিষয়ে হতে পারে প্রশ্ন ।
বিধাননগর দক্ষিণ থানা সিবিআইয়ের কাছে ৮ ট্রাংক সারদা সংক্রান্ত নথি জমা করেছে । নথি জমা পড়লেও কোন রকম লাল ডায়েরি অথবা পেন ড্রাইভ সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছায়নি ।
উল্লেখ্য, সারদা মামলার তদন্তে নেমে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনে।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে সিবিআই এর তরফ থেকে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকার জন্যে রাজীব কুমারকে জেরা করলেও, এতদিন গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। অন্যদিকে গত ১৭ মে রাজীবকে দেওয়া নিজেদের রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এই বিষয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে সিবি আই রাজীব কুমারকে জেরা ও গ্রেফতার করতে পারবে।
পাশাপাশি সেদিন শীর্ষ আদালত এও জানিয়ে দেয়, রাজীব কুমার চাইলে সাত দিনের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারেন নিম্ন আদালতে।
এরপরে, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার অফিসার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিভাসন দফতর জারি করল ‘লুক আউট সার্কুলার’।