বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? নির্ভর করে ব্যবহারকারীর উপর।
PUBG গেমের প্রতি যুব সমাজের আকর্ষণ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা কখনো কখনো এমন মাত্রায় পৌঁছে যায়, তাঁকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলা ছাড়া আর অন্য কোন শব্দ নেই। গেমই তাঁর একমাত্র জীবন হয়ে ওঠে সে মুহূর্তে।
দিনরাত ব্যস্ত আইন কলেজের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র সৌম্যজিৎ পালের (১৯)। পড়াশুনা বাদ দিয়ে, নাওয়া খাওয়া ভুলে গেমে মত্ত ছেলে। মা বকেছিলেন। আর তাতেই জীবনের হ্রাস টেনে দিল ১৯ বছরের ছেলে।
গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন মেধাবী ছাত্র। রবিবার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। কোন সুইসাইড নোট লিখে যাননি সৌম্যজিৎ। দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব পুটিয়ারির বাগানপাড়ার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা গেছে, ঠাণ্ডা স্বভাবের সৌম্যজিৎ মা শ্যামলি পালকে বলেছিলেন (যে সময় ব্লু হোয়েল গেমের প্রতি আকর্ষিত হয়ে পড়ছিল ছেলে-মেয়েরা এবং আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছিল) তিনি কখনো এমন কাজ করবেন না। তাই ব্লু হোয়েল গেম তিনি ছুঁতেনও না। কিন্তু PUBG কে দূরে ঠেলতে পারলেন না।
ভার্চুয়াল জগতে তীব্র জেতার নেশা তাঁর জীবনকে হারিয়ে দিল।