নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত। ইতিমধ্যে গণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো। সব নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত।
এর মধ্যেই জানুয়ারির ১০ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত হচ্ছেন কলকাতা। এক দিনের সফরে ১১ জানুয়ারি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি।
নাগরিকপঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনি বিল নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি প্রতি সভামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের সরকারকে নিশানায় রাখছেন। গড়ে তুলছেন গণ আন্দোলন। মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং নিজে।
এই সংঘর্ষের মাঝে মমতার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোন আওয়াজ শোনা যায়নি এখনো অবধি।
পুরুলিয়ায় মিছিল শুরুর পূর্বে বিজেপিকে নিশানা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘এনআরসির নামে দেশ থেকে মানুষকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দিন’’।
যদিও এই একা তিনি উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও ভারতীয় জনতা দলকে করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিরোধি ঐক্যের অন্যতম পুরোধা ছিলেন মমতা। কাজে আসেনি।
টেক্কা দিয়ে মন্ত্রীসভা দখল করে নিয়েছেন মোদি-শাহ।
এবার ফের নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ইস্যু করে বিরোধি ঐক্য জমাতে চাইছেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। এবং এরজন্যে তিনি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকেই ভালোভাবে বেছে নিতে চাইলেন। বিজেপি বিরোধি চিঠিতে মমতাকে সায় দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
তবে তৃণমূল বিরোধি দলগুলো কিন্তু ২০০৫ সাল এবং ২০১৯ সালের মমতাকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করছে বারংবার। সে ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এমনকি রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ভিডিও সম্প্রতি পোস্ট করে জুড়ে দিয়েছেন শাণিত বার্তা