কলকাতাঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় Supreme Courtএ আপাতত স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আপাতত তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু বলেন – আপাতত চার সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না Manik Bhattacharyaর বিরুদ্ধে। টেট দুর্নীতির তদন্ত চলবে। তদন্ত করবে CBI। চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। দ্ৰুত তদন্ত শেষ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন নিৰ্দেশে বলা হয়েছে যতদিন না পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয় ততদিন পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। মানিককে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নিৰ্দেশের ওপরও স্থগিতাদেশ জারি করেছে Supreme Court। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্ৰাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রায় বহাল রেখেছিলেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
তবে ইডির (Enforcement Directorate) গ্রেপ্তারি নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। ফলে আপাতত ইডির হেফাজতেই থাকতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের (CBI) গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সেই মামলায় এদিন কার্যত রক্ষাকবচ পেলেন মানিক ভট্টাচার্য। সিবিআইয়ের কোন পথে তদন্ত চলছে, তদন্তের অগ্রগতি কত দূর, কোন পথে এগোতে চাইছে সিবিআই (CBI), ৪ সপ্তাহ পর সেই রিপোর্টে দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। নির্দেশ মেনে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই পদে আসেন গৌতম পাল। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। এদিন সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেন দুই বিচারপতি। তাঁরা জানান, কোন যুক্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে সরানো হল, পালটা কী যুক্তি রয়েছে মানিকের আইনজীবীর, তা বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। অপসারণের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেও তাঁকে পুনর্বহালের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দেয়নি।
তবে এদিন শীর্ষ আদালত কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত কলকাতা হাই কোর্টের ঠিক ছিল না।
ইডির গ্রেফতারি নিয়েও শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন মানিক। তবে এনিয়ে শুনানি হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আপাতত ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। আদালত সূত্রে খবর, ইডির গ্রেপ্তারি এড়াতে কোনও রক্ষাকবচ চাননি মানিক। বরং CBI গ্রেফতারির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন।