কলকাতাঃ মাসখানেক আগেই Social Mediaয় ভাইরাল হয়েছেন নন্দিনী। তাঁর আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়(Mamata Ganguly)। তবে Social Mediaয় নন্দিনী বলতে সকলেই এক নামেই চেনেন। ফেসবুক বা ইউটিউব ব্লগে ‘স্মার্ট দিদি’ র হোটেল সকলেই চেনেন।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
কলকাতার (Kolkata) অফিসপাড়ায় পাইস হোটেল (Pice Hotel In Kolkata) চালিয়ে রাতারাতি Social Mediaয় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তরুণী এই বিক্রেতা। মিলেনিয়াম পার্কের ঠিক উলটোদিকে বিবাদি বাগের অফিস চত্বরে গেলেই পাওয়া যাবে তাঁকে। হাসিমুখে খাবার পরিবেশন করেন এই তরুণী। মমতা এখন Social Mediaয় ট্রেন্ডিং। বরাবরই অফিস কর্মীদের লাঞ্চের ঠিকানা কলকাতার এই ছোট ছোট পাইস হোটেলগুলি। সাধারণত সেখানে দেখা যায় পুরুষ বিক্রেতাদের। এবার ছক ভেঙে ক্রেতাদের নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করে ভাইরাল হলেন মমতা গঙ্গোপাধ্যায়(Mamata Ganguly)।
Social Mediaয় ভাইরাল হওয়ার পর নন্দিনীকে এবার দেখা গেল ‘দিদি নম্বর ওয়ান’এও। ফ্যাশন ডিজাইনিং করা তরুণী বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) নিশ্চিত মাইনের চাকরি ছেড়ে কিভাবে বাবার হোটেলে এসে যোগ দিলেন সমস্ত খুলে বলেন। এমবিএ পাশ করেছেন মমতা। করোনায় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই অফিস পাড়ায় এক চিলতে দোকান খোলেন। মা আর বাবা মিলে দোকান চালাতেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন মা বিনা। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে কাজের জায়গায় দিন ১৫র ছুটি নিয়ে কলকাতা ফেরেন। তারপর বাবার ছোট্ট ভাতের হোটেল সামলাতে চাকরি ছেড়ে দেন মমতা। নন্দিনীর বাবা রোজ সকালে উঠে ছোটেন বেলেঘাটার বাজারে। তারপর মা বিনা হোটেল যান শাক সবজি কাটাকুটি করেন। তারপর সকাল ৯ টার মধ্যে মমতা হোটেলে চলে যান, বাবাকে রান্নায় সাহায্য করেন। গ্ৰাহকদের গরম গরম ভাত পরিবশেন করেন। হাসিমুখে গ্ৰাহকদের পাতে তুলে দেন ডাল ভাত, আলু ভাজা, পটল ভাজা, বেগুন ভাজা, মাছের ঝোল, চিকেন, মাটন। তাঁর হোটেলে ভেজ থালি ২০ টাকা, দু রকম ভাজা নিলে ৪০ টাকা, চারা পোনা মাছভাত ৭০ টাকা, রুই ৮০ টাকা, চিকেন ১০০ টাকা আর মাটন নিলে ২০০ টাকা। Social Mediaয় ভাইরাল হওয়ার পর মমতার হোটেলের গ্ৰাহকের সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে।
ভবিষ্যতে বাবার এই ব্যবসাকেই আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।