জীবনে টাকা কিছু না, অর্থাৎ টাকা মাটি মাটি টাকা। রামকৃষ্ণ দেব বলতেন, টাকা মাটি, মাটি টাকা। কেউ কেউ বলেন, এই পৃথিবীতে যত অশান্তি সব টাকার জন্য। অর্থই অনর্থের মূলে। একজন গরীব যত নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমোতে পারে, একজন ধনীর পক্ষে তা কখনোই সম্ভব নয়।
এবার জেলে বসে টাকা মাটি মাটি টাকা পড়তে চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই জানা গেল। চৈতন্য হচ্ছে নাকি লোকদেখানো এ নিয়ে এখন তুমুল চর্চা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অর্পিতা মুখোপাধ্যায়র ঘর থেকে কোটি কোটি টাকার বাণ্ডিল উদ্ধার হয়েছে।
আর এত কাণ্ডের পর এবার জেলে বসে ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’ পড়তে চাইলেন পার্থ। চেয়েছেন খাতা, কলমও। রামকৃষ্ণের শরণ নিয়ে অমৃতের খোঁজের পাশাপাশি জেল জীবনে সাহিত্যেও ডুব দিতে চাইছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।অন্ধকার কুঠুরিতে সাধারণ খাবার খেয়ে এখন আলোর সন্ধানে রত হয়েছেন পার্থ।
জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করে আনিয়ে নিয়েছেন ‘শ্রীম কথিত শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’। আবার সাহিত্যও পড়তে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।
তাঁর ইচ্ছা শুনে জেলে পার্থের জন্য পাঠানো হয়েছে ‘মহাশ্বেতা দেবী অমনিবাস’। ‘হাজার চুরাশির মা’ পড়বেন পার্থ। ‘স্তন্যদায়িনী’, ‘অরণ্যের অধিকার’ও পড়বেন। হাজার চুরাশির মায়ে আছে ব্রতী, সুজাতা, দিব্যনাথের কথা। যে সুজাতা ব্রতীকে আগলে রাখতেন প্রাণপণে দিব্যনাথের থেকে। এখানে আছে নকশাল আন্দোলনের কথা। আছে আগুন ঝরা সংলাপ।
তবে আদৌ সেটা জানা যায়নি যে পার্থ পড়ছেন কিনা বা খাতা কলম ব্যবহারে আসছে কিনা।জানা যায়, পাঁচটা বন্দির মতোই পার্থের জেল-জীবন কাটছে। গত শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। তাঁর পর থেকে আপাতত ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক নম্বর ব্লকের দু’নম্বর সেল।