কলকাতাঃ দেখতে দেখতে চলে এল কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। হিন্দু ধর্মে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর (Krishna Janmashtami) গুরুত্ব রয়েছে।হিন্দুদের বিশ্বাস মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী ও রোহিনী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ (Lord Krishna) । সেইদিনটিই পবিত্র জন্মাষ্টমী (Janmashtami) ।
উপবাসও করা হয় এদিন। আর মাঝে মাঝে উপবাস এমনিতেও করা ভালো স্বাস্থ্যের জন্যে।
পৌরাণিক কাহিনি মতে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি হচ্ছে মথুরায়। পবিত্র জন্মাষ্টমীর দিনটিতে মথুরায় অগুণতি ভক্তরা আসেন। প্রসঙ্গত, ১৮ অগস্ট জন্মাষ্টমীর তিথি শুরু হবে।এবং শেষ হবে ১৯ অগস্ট।জানা গেল, মথুরার মন্দিরগুলিতে ১৯ অগস্ট তারিখেই কৃষ্ণের পুজো হবে।
জন্মাষ্টমী পালন করার জন্যে কয়েকটি বিষয় জানা আবশ্যক।জ্যোতিষীদের মতে জন্মাষ্টমী পুজোয় কৃষ্ণের প্রিয় জিনিসগুলো রাখলে কৃষ্ণের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। জন্মাষ্টমীর পুজোয় কৃষ্ণের প্রিয় কোন কোন বস্তু রাখবেন—
# ময়ূরের পাখ তো লাগবেই। কারণ কৃষ্ণের মুকুটে সবসময় থাকে ময়ূর পাখা। তাই জন্মাষ্টমীর পুজোয় ময়ূরপঙ্খ লাগাতে ভুলবেন না।এছাড়া এমনিতেও ময়ূর পাখ রাখতে পারেন বাড়িতে।
তুলসী দিতে হবে।
তুলসী কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। জন্মাষ্টমীর পুজোয় কৃষ্ণকে যে ভোগ নিবেদন করবেন, তাতে তুলসী পাতা দিতে যেন ভুলবেন না।
শশা
জন্মাষ্টমীর পুজোয় শশা নিবেদন করতে
হবে। এখানে শসাকে একটা প্রতীক হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। সন্তান প্রসবের সময় নাড়ি কেটে শিশুকে বের করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোয় এই শশাকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রথা মতে, জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় শসার ডাঁটি কেটে কৃষ্ণের জন্ম ঘোষণা করা হয়।ডাঁটি মানে নাড়ি।
বাঁশি
বাঁশি তো দিতেই হবে। যা কৃষ্ণের নিত্যসঙ্গী।
শঙ্খ
জন্মাষ্টমীর দিন কৃষ্ণকে শঙ্খ দিয়ে স্নান করাতে হয়। শুভ কাজে শঙ্খের ব্যবহার আছে।
মিশ্রী
মাখন মিশ্রী কৃষ্ণের প্রিয়।তাই এটিও দিন।
বৈজয়ন্তী মালা
কৃষ্ণ গলায় বৈজয়ন্তী ফুলের মালা ধারণ করেন। তাই দিতে হবে এই মালা।