পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক পঞ্জি হচ্ছেই! স্পষ্ট ভাষায় ফের আরো একবার মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। এবং অসমে নাগরিক পঞ্জি যে প্রক্রিয়ায় হয়েছে তার বিরোধিতা করে আগামিকাল, ১২ সেপ্টেম্বর, সিথি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং মমতা।
বিগত লোকসভা ভোটের পর এই প্রথম সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে পথে নামতে চলেছেন মমতা।
ঠিক তার পূর্ব মুহূর্তে মোদী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন স্মৃতি।
‘মোদি হ্যায় তো সব মুমকিন হ্যায়’। স্মৃতি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ থেকে নাগরিক পঞ্জী, ১০০ দিনের মধ্যে সরকারের সাফল্যের খতিয়ান।
চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ যাওয়া ১৯ লক্ষ মানুষ রীতিমতো ধুঁকছে অসমে। রাজ্যের এক-একজন মানুষের দিন কাটছে অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে। কিভাবে কি হবে কিচ্ছু জানা নেই। এনআরসিতে নাম না থাকার হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে মানুষ!
এনআরসি তালিকা থেকে হিন্দু বাঙালি তো রয়েছেই, ভোজপুরি ভাষাভাষী ১৫ হাজার মানুষের নাম এবং কোচ রাজবংশী ৫ লক্ষ জনগণের নাম বাদ পড়েছে।
অসম ভোজপুরি যুব ছাত্রপরিষদ এবং অল অসম ভোজপুরি সন্মেলনের তরফ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদস্বরূপ ১২ সেপ্টেম্বর কোচ রাজবংশী সম্মেলনের পক্ষ থেকে উচ্চতম ন্যায়ালয়ের নির্দেশ অমান্য করেই ১২ ঘন্টা অসম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
স্মৃতির বক্তব্য, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশেই নাগরিক পঞ্জি হবে। এটা বিজেপির ঘোষিত সিদ্ধান্ত।’’
স্মৃতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘সাস ভি কভি বহু থি। স্মৃতি আজ যা বলছেন, কাল নিজেই বলবেন তা ঠিক নয়। এ সব কথাকে বেশি গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল।’’