৭১ তম গণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নয়া দিল্লির রাজপথ আলোড়িত হলো ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি’ গান ও নাচের মূর্চ্ছনায়।
তবে এ সমস্তই অনুষ্ঠিত হয়েছে কেন্দ্রের উদ্যোগে। কুচকাওয়াজে বাউলের গেরুয়া পোশাকে অংশগ্রহণ করেছিল বিনয়নগর বেঙ্গলি স্কুলের প্রায় দেড়শো ছাত্র-ছাত্রী।
কেন্দ্রের তরফ থেকে শেষ মুহূর্তের এই আয়োজনে এবার বিরোধি দলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অনেকেই বলছেন, মমতাকে বার্তা দিতেই দিল্লির বাংলা স্কুলকে অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিয়েছে মোদী সরকার। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিতর্কে যেতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, দিল্লির বুকে বঙ্গসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা গিয়েছে সেটাই বড় কথা।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২০ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দিল্লীর প্যারাড থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল বাংলার ট্যাবলো।
এর আগে ২০১৮ সালেও বাদ পড়েছিল বাংলার ট্যাবলো। এবারও ঠিক একইরকম চিত্র দেখা যাবে, এমন দুঃখ ছিলই বাঙালির মনে। বাংলার জল বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও রাজ্যের ট্যাবলোকে বাদ দেয়া হয়েছিল।
প্যারেডের জন্য ৫৬ টার মধ্যে ২২টি প্রস্তাব বাছাই করা হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, বিশেষজ্ঞ কমিটি দু’বার বৈঠক করার পর বাংলার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
কিন্তু অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্বে বাউল বেশে ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি’র তালে নাচ করতে করতে এগিয়ে আসে একদল ছেলেমেয়ে। প্রাণের ভাষায় আনন্দে মেতে ওঠেন কুচকাওয়াজ দেখতে আসা বাঙালিরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাউলাঙ্গের এই গানে নৃত্য পরিবেশন করে দিল্লি বিনয়নগর বেঙ্গলি স্কুলের পড়ুয়ারা। রবি মুখর হয়ে ওঠে নয়া দিল্লির রাজপথ।
গান শুরু হওয়ার সঙ্গে দর্শকাসনে আসীন বাবুল সুপ্রিয়র মুখে ফুটে ওঠে চওড়া হাসি।
যথেষ্ট আনন্দিত হয়ে ওঠেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্ত্রী।
অনুষ্ঠানের শেষে বাউলের পোশাক পরা ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি টুইট করে মোদী বলেন, ‘‘ভারতের বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তিশালী করে। আমরা গর্বিত যে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি ভারতে খুশি মনে সহাবস্থান করে।’’