আজ ২০শে জুলাই দীঘায় বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৭ সালের ১১ই জুলাই সাড়ে পাঁচ একর জমির ওপর নির্মিত নিউ দীঘার এই কনভেনশন সেন্টারটির শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দীঘার পাশেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর। অসাধারণ পরিবেশ! সৈকতের পর্যটনকে পুঁজি করে কর্পোরেট দুনিয়াকেও কাছে টানতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই ৩৫০ কোটি টাকা খরচে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই এই আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয় বাংলা-ওড়িশার সীমান্ত উদয়পুরের কাছে ফোরশোর রোডের পাশে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মোট ৫ একর একর জমিতে।
উল্লেখযোগ্য যে, উপকূলবর্তী অঞ্চলে এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার তৈরি করা হল যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্মেলন আয়োজিত হবে স্থানীয় পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারের জন্য।
চার তল বিশিষ্ট এই বাণিজ্য কেন্দ্রে একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র আছে এক হাজার বর্গ মিটারের, রয়েছে ৩০০ আসনের একটি আলোচনা কেন্দ্র, আছে সম্মেলন করার জায়গা, এক হাজার আসনের একটি আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন, সেচ, জলপথেবং অন্যান্য বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারি, পুর নগর উন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফেরহাদ হাকিম, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেছেন ঠিকই, কিন্তু নাম না করে। তিনি বলেন, কেন্দ্র কেন্দ্রের মতো কাজ করুক। রাজ্য রাজ্যের মতো করে যাবে। মাথায় ফেট্টি বেঁধে হাতে দুটো ডাণ্ডা আর ঝাণ্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়ালেই উন্নতি হয় না। এই বলে তীব্র কটাক্ষ করেন গেরুয়া দলকে।
আরো বলেন, আমরা রাজ্যে স্ট্রাইক সমর্থন করি না। এমনকি এ বিষয়ে কেন্দ্রকেও সমর্থন করি না।
মমতার এ বক্তব্যে সাধারণ মানুষের পাল্টা কিছু প্রশ্ন শোনা যায় চুপিসারে। “তাহলে রাজ্যে যে প্রতিনিয়ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের দাবিতে রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন হচ্ছে, ধর্মঘট হচ্ছে, সেগুলো কোন পর্যায়ে পড়বে? মুখ্যমন্ত্রী এর কি জবাব দেবেন?”
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে দিঘার পরিবেশকে সুন্দর, সবুজ রাখার জন্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট প্লেজ দীঘাকে রাখতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছ্বন্ন। দিঘার পারে অনুমতি ছাড়া কোন হকারকে দোকান করতে দেয়া হবে না। কারণ এতে পরিবেশ নষ্ট হবে। যেটা দেয়া হবে, সে জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হবে সরকার পক্ষ থেকে।
কারণ পরিবেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষেরও পর্যাপ্ত দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলা আজ ছাগলের তৃতীয় ছানার মতো কিছু না করে, কিছু না পেয়ে লাফালাফি করে না। কারণ বাংলায় আজ সব আছে। তৈরি হচ্ছে বাংলা ধীরে ধীরে। এখন বাংলাকে দেখে কেউ আর নাক কুচকোতে পারবে না।