প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ পড়ল পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো। এ নিয়ে নতুন করে সংঘাত বেঁধেছে কেন্দ্র-রাজ্যের। যদিও মোদি-মমতার সংঘাত নতুন কোন বিষয় নয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি জানাচ্ছেন, এনআরসি এবং সিএএ’র বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের জেরে এবার ফের সহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতার ফল ‘ট্যাবলো বাদ’। একে কোনমতেই ভালো চোখে দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, যদি তৃণমূলকে বাদ দেওয়াই মূল লক্ষ্য হতো, তাহলে কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানের ট্যাবলো কিভাবে স্থান পাচ্ছে? কিভাবেই বা বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা, হরিয়ানা বাদ গেল?
দিলীপবাবু জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকার নিজের ইচ্ছে মাফিক যা ইচ্ছে তাই করতে পারে না। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ওই ট্যাবলো প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল, তাই খারিজ হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ট্যাবলোর প্রস্তাবনা, এ রাজ্য থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী আর জল ধরো, জল ভরো।
এই তিনটির মধ্যে কোনও একটা, এমন উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হলে, সেটা পত্রপাঠ খারিজ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রায় দু’বার পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাব খতিয়ে দেখেছে। তারপর সেটা খারিজের অনুমোদন জানিয়েছে”।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গণতন্ত্র দিবসে নয়া দিল্লিতে মোট ২২টি ট্যাবলো অংশ নেবে। এর মধ্যে ১৬ টি রাজ্যের এবং ৬ টি বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের ট্যাবলো।
দিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণের ইচ্ছে প্রকাশ করে মোট ৩২টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ও ২৪টি মন্ত্রক ও দফতর কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল।
সবকটির মধ্যে বেছে নেয়া হয়েছে মোট ২২ টি ট্যাবলোকে।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০১২ সালে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগদান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। সে বার বাংলার প্যারেডের থিম ছিল পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো প্রথম স্থান অধিকার করে।
কুচকাওয়াজে কোন ট্যাবলো থাকবে কোনটা নয়, তা নির্বাচন করে বাছাই কমিটি।