পড়ে রইল জগত। পড়ে রইল সমস্ত সৃষ্টিরাজি। ‘ভালোবাসা’ থেকে পৃথিবীর ভালোবাসা নিয়ে চিরতরে বিদায় নিলেন সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন।
সকাল ১১ টা। মা’কে চিরজীবনের জন্যে বিদায় দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুই মেয়ে নন্দনা-অন্তরা।
হিন্দুস্তান পার্কে নিজের বাড়ি ‘ভালোবাসা’- থেকে সাহিত্যিকের নশ্বর দেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চোখের নোনা জলে প্রিয় লেখক, অধ্যাপিকাকে বিদায় জানালেন পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসররা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিতে।
নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে সারা বাংলা জগতটা শূন্য হয়ে গেছে। স্তব্ধ, শোকাহত সাহিত্যিকসমাজ।
বৃহস্পতিবার, ৭.৩৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ একটা দীর্ঘশ্বাস, বহু ধুলো পড়ে যাওয়া স্মৃতি এক ঝলকে ভেসে এল চোখের সামনে ৷
বয়স হয়েছিল ৮১ বছর ৷ ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি ৷
এদিন সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ছাড়াও কিংবদন্তী লেখককে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন শ্রীকান্ত আচার্য, কবি শঙ্ঘ ঘোষ, অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, লেখিকা তিলোত্তমা মজুমদার, লেখক শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাংলা সাহিত্যজগতের বিশিষ্ট আরও অনেকে।
কেওড়াতলা শ্মশানে সম্পন্ন হবে সাহিতিকের শেষকৃত্য।