একবিংশ শতাব্দীর মানুষ প্রচণ্ড ইগোর যন্ত্রণায় ভুগছে। রিপুর থেকে নিস্তার নেই।
দীপাবলির সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে ঘটে গেল এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। মৌসুমী নাগ(৫৪)কে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করলো তাঁরই ২৬ বছরের পুরনো গাড়িচালক। ড্রাইভারের এলোপাথাড়ি মারে সুব্রত নাগেরও অবস্থা সংকটজনক।
সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির চালক তপন দাসের সঙ্গে অগ্রিম মাইনে নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল নাগ পরিবারের। এই হিংসার জেরে পিটিয়ে হত্যা করা হলো মৌসুমীদেবীকে!
বর্ধমান থানা সংলগ্ন খোসবাগান এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
ঘটনায় আটক করা হয়েছে হত্যাকারী তপন দাসকে।
নাগ পরিবারের পরিচারিকা জবার কাছ থেকে ঘটনার বৃত্তান্ত জানা গেছে যে, ড্রাইভার তপন বাবু যদিও অক্টোবর মাস শেষ হয়নি, তার আগেই মাইনে চাইতে আসেন। শুধু তাই নয় দুমাসের অগ্রিম বেতনও তাঁর চাই-ই চাই, এ নিয়ে বচসা শুরু করে দেন।
মৌসুমী দেবী এবং সুব্রত বাবু এভাবে আগেভাগে মাইনে দিতে অস্বীকার করায়, চালক বলতে থাকেন তিনি মাইনে না পেলে কাজ শীঘ্রই ছেড়ে দেবেন। এতে মৌসুমী নাগের কোন আপত্তি ছিল না। তিনি তপন বাবুর কথায় সায় দিয়েই জানিয়ে দেন, তিনি চাইলে কাজ ছেড়ে দিতে পারেন।
এই প্রতিক্রিয়ায় হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে তপন দাস বাঁশ দিয়ে মৌসুমী এবং সুব্রতকে নৃশংসভাবে পেটাতে আরম্ভ করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী এবং স্বামীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৌসুমী নাগকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।
ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুনিকে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বর্ধমান থানার পুলিস অফিসার বলেন, ‘মাইনে নিয়ে বচসার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ওই চালক পুলিসের কাছে দাবি করেছে, সে ২৬ বছর ধরে ওই চিকিৎসকের গাড়ি চালাচ্ছিল। এদিন মাইনে না দেওয়ায় সে মেরে ফেলেছে। খুনের ধারাতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’