এই প্রথম নয়, অতীতেও বহুবার মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান।মাস কয়েক আগেই লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদা সম্পর্কে কু-মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। সেইবার পার পেলেও, এবার বেশ বিপাকে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সাংসদ আজম খান।
এবার লোকসভায় মহিলা সাংসদরা দলমত নির্বিশেষে আজমের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। আর সেই চড়া সুরেই সুর মিলিয়েছেন তৃণমূলের দুই নবনির্বাচিত মহিলা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী আজম খানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সংসদে বলেছেন, “সংসদে দাঁড়িয়ে কোনও সাংসদই এমন ভাষায় কথা বলতে পারেন না”। পাশাপাশি তিনি স্পিকার ওম বিড়লার উদ্দেশে বলেছেন, “স্যার, সব মহিলারাই আপনার কাছ থেকে বড় কোনও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন”।
ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানও। তিনি বলেন, “একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। সংসদের বাইরে হোক কিংবা সংসদের চৌকাঠের ভিতরে, কোনও মহিলার সঙ্গে এধরনের অভব্য আচরণের তীব্র ধিক্কার জানাই”।
আজমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ চেয়ে প্রায় সব মহিলা সাংসদই এককাট্টা হয়ে স্পিকার ওম বিড়লার সামনে সরব হয়েছেন। শুধু মহিলা সাংসদরাই নন, লোকসভার পুরুষ সাংসদরাও এদিন তাঁর আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ, যাঁকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনা সেই রমা দেবী, এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি, বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি, আপনা দলের সাংসদ অনুপ্রিয়া প্যাটেল সহ আরও অনেকই আজম খানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ব্যবস্থা তথা বরখাস্তের দাবি তুলেছেন।