প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাঙালি বিদ্বেষী তো ননই বরং ১১ জানুয়ারি ‘সিটি অব জয়’ কলকাতায় উপস্থিত হয়ে বারংবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি বাংলা এবং বাঙালিকে শ্রদ্ধা করেন।
মোদির বক্তৃতায় উঠে আসছে কেবল একটিই প্রসঙ্গ। বাংলার বিপ্লবী!
ভাষণে উঠে আসে একের পর এক যুগাবতার, বিপ্লবী বাঙালির বীরত্বের কথা।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শহিদ ক্ষুদিরাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম।
বাঙালির চিরসঞ্চিত আবেগে আরো একবার নতুন করে যেন আলো দেখালেন নরেন্দ্র মোদি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি, এনআরপি নিয়ে তীব্র বিরোধিতা মোদির আগমণের দিনও বজায় ছিল পশ্চিমবঙ্গে। ধর্মতলায় মোদি বিরোধি প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আগুন জ্বালিয়ে, মোদি গো ব্যাক স্লোগানে উত্তাল করে তোলেন সারা শহর।
কিন্তু অসুন্দরের পাশে সুন্দর থাকবে কেন? প্রধানমন্ত্রী মোদি কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে সুন্দরের আরাধনায় মগ্ন রইলেন।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের একটি গ্যালারিতে বাঙালি বিপ্লবীদের কাহিনি তুলে ধরার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভিক্টোরিয়ার পাঁচটি গ্যালারির মধ্যে দুটি দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এটা কখনো ঠিক নয়। সেগুলো চালু করার জন্যে দ্রুত কাজ চলছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদানের কাহিনি তুলে ধরা উচিত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, অরবিন্দ ঘোষ ও শহিদ ক্ষুদিরামের মতো নেতাদের জায়গা পাওয়া উচিত।”