করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ রোধ করার জন্যে ভারতে দ্বিতীয় দফার লকডাউন চলছে। লকডাউনের মাঝেই সাধারণ জনগণের জন্যে একটি স্বস্তির খবর।
গৃহ মন্ত্রণালয় দেশে আজ থেকে বহু দোকানকে শর্তসাপেক্ষে খোলার অনুমতি দিয়েছে। নিঃসন্দেহে দেশবাসী অপেক্ষা করে থাকা এটি একটি ভালো সংবাদ।
কিন্তু কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। সেজন্যে সরকার এক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করেছে।
উল্লেখযোগ্য যে, লকডাউনের ফলে সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। শুধু শাক-সবজি, ফলমূল, ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
এবার কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্তের কিছু বদল করছেন, অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর পাশাপাশি এখন অন্যান্য সামগ্রীর দোকানও খোলা থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রের সরকার পৌর নিগমের আওতায় থাকা আবাসিক অঞ্চলের পাশে থাকা দোকান এবং স্টেণ্ড এলোন দোকানগুলো খোলার অনুমতি প্রদান করেছে।
এই অনুমতির পাশাপাশি মন্ত্রণালয় কড়া নির্দেশ দিয়েছে, মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মচারী কাজ করবে কিন্তু মাস্ক পরিধান করতেই হবে।
শর্তানুযায়ী, দোকানগুলো সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত প্রদেশের প্রতিষ্ঠিত নিয়মের ভিতর রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে। দোকানে অর্ধেক সংখ্যক কর্মচারী কাজ করতে পারবে। এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
তবে, দেশের যে অঞ্চলগুলোকে করোনা হটস্পট অথবা কন্টেইনমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে দোকান খোলার এই নতুন নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না।
কেন্দ্রীয় স্রকারের এই নির্দেশিকা অনুযায়ী অসমেও কি দোকান খুলবে? রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমাৰ সঞ্জয়কৃষ্ণ জানিয়েছেন যে, এ বিষয়ে ২৭ এপ্রিলের পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।