আজ ২৪ শে অক্টোবর ভারতের প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে’র ষষ্ঠতম মৃত্যুবার্ষিকী। কবির সুমন মান্না দে সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন , ‘মান্না দে সঙ্গীতের একটা সভ্যতা’।
সত্যিই তাই। প্রায় সাত দশকের সঙ্গীতজীবনে মান্না দে বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার গান গেয়েছেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে অসংখ্য সিনেমার গান, তেমনই রয়েছে ধ্রুপদী সঙ্গীত, আধুনিক গান, রবীন্দ্রসঙ্গীত আর নজরুলগীতি।
সঙ্গীত জগতের সভ্যতাকে ধরে রাখা ব্যক্তিত্বকে ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
টুইটারে তিনি লিখেছেন,
“হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে… প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী মান্না দের মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই প্রণাম। ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে ওনাকে ‘বিশেষ সঙ্গীত সম্মান’ এ ভূষিত করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে…
প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী মান্না দের মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই প্রণাম। ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে ওনাকে 'বিশেষ সঙ্গীত সম্মান' এ ভূষিত করতে পেরে আমরা গর্বিত pic.twitter.com/aDl6K7OMZJ— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 24, 2019
মান্না দে’র প্রকৃত নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। মান্না দে’র গান শেখা শুরু তার কাকা – ১৯২০ ও ৩০-এর দশকের বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে’র কাছে। কৃষ্ণচন্দ্র দে ছিলেন অন্ধ এবং ভ্রাতুষ্পুত্র মান্না দে ছিলেন একাধারে তার শিষ্য ও সহকারী।
কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে-র সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য ১৯৪২ সালে তিনি মুম্বাইর উদ্দেশে পাড়ি জমান।
এর কিছুকাল পরই চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের সুযোগ পান। ‘তামান্না’ ছবিতে সুরাইয়ার সাথে দ্বৈতকণ্ঠে ‘জাগো এয় ঊষা’ গানটি প্লেব্যাকে তার প্রথম গান।
শচীন দেব বর্মণ এবং অন্যন্য সঙ্গীত পরিচালকদের সুরে ১৯৪০, ৫০ ও ৬০-এর দশকে প্রচুর কালজয়ী সিনেমার গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি।
১৯৫৩ সালে ‘কতদূরে আর নিয়ে যাবে বলো’ গানটি তার রেকর্ড করা প্রথম বাংলা গান।
২০১৯ সালে আজও সেই বৃহস্পতিবার। ২০১৩ সালের আজকের দিনেই দেশবাসীকে কাঁদিয়ে ৯৪ বছর বয়সে তিনি চলে গেছিলেন ওপারে।