মমতা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে ছিলেন নত মস্তক, কিন্তু বারংবার এদিকে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইছেন যে তিনি জনসাধারণের সঙ্গে রয়েছেন।
নয়া দিল্লিতে ১৩ জানুয়ারি সোইয়া গান্ধীকে প্রত্যাখ্যান করে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
সোমবার ফের ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চে হাজির হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে বিঁধলেন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মমতা। পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গুলি করে মারা মন্তব্যের বিরোধিতা করেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য যে, রবিবার দিলীপ ঘোষ রানাঘাটে সিএএ বিরোধী পক্ষকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে বলেন, যাঁরা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে তাঁদের কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, অসমের মতো গুলি করে মারা হবে।
গতকাল, দিলীপবাবুর এই মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন মমতা।
মমতার বার্তা, “বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের কোনও পার্থক্য নেই। আমরা একাই আন্দোলন করব। একাই পথে নামব।”
অথচ পরিষ্কার দেশবাসী দেখতে পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতা।
মমতা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জিসহ (এনআরসি) নরেন্দ্র মোদি সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী চিঠি লিখে মমতার অবস্থানের প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন।
নাগরিকত্ব আইন এনে এবং এনআরসি চালু করতে চেয়ে মোদি সরকার ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ পথে এগোচ্ছে বলে মমতার যুক্তিতে সহমত হয়েছেন সোনিয়া।
সেই মমতাই ফের ভোল পাল্টালেন!
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৫ সালে সংসদে ফাইল ছুঁড়ে ফেলে চোখের জলে ভেসেছিলেন নাগরিকত্ব আইনের জন্যে, সে মমতা মুসলিম ভোটের আশায় সরব হয়েছেন ২০২০ সালে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে!
মানুষ বোকা নয়।