“আমি তো আগেই বলেছিলাম ওনার প্রতিবাদ আসলে ফাঁপা। লোক দেখানো। কংগ্রেসের ডাকা মিটিংয়ে গেলে যদি মোদী-অমিত শাহ চটে যান, তাই বনধের অজুহাত দিচ্ছেন”।
এবার লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র তৃণমূল সুপ্রিমোর রূপ ফাঁস করে দিলেন জনসমক্ষে!
উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামি ১৩ তারিখ নয়া দিল্লিতে হতে যাওয়া বিরোধী দলের বৈঠক বয়কট করেছেন।
যে মমতা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে বিরোধি দলগুলোকে একজোট করা! সেই তৃণমূল সুপ্রিমোই এবার দিল্লি বৈঠকে অংশগ্রহণ না করে ঘরেই থাকতে চাইছেন।
এদিকে আগামিকাল ১১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঙুল তোলার একমাত্র লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অধীরবাবু আরো বললেন, “প্রধানমন্ত্রী ১১ তারিখ কলকাতায় আসছেন। সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী সুড় সুড় করে ঠিক পৌঁছে গিয়েছেন!”
এদিকে মমতাকে শাণিত ভাষায় ব্যঙ্গ করতে ছাড়লেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, “লোকসভায় নাগরিকত্ব বিলের ভোটাভুটির সময় ৮ জন তৃণমূল সাংসদের অনুপস্থিত থাকা, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেলের হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পুলিশ দিয়ে পেটানো, বনধের পূর্বে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে হুমকি সার্কুলার এবং বিজেপি বিরোধী বনধে পুলিশের আক্রমণ—এসবই মোদী সরকারকে বার্তা দেওয়ার জন্যই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”