মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনায় সরগরম ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চ । এবার সেই দলে যুক্ত হলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা কেন যাননি, সে উত্তর মেদিনীপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য দিলীপ বাবুই দিয়ে দিলেন। তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোর সাহসহীন মনের কথা উল্লেখ করে বলেনঃ
‘নির্বাচন চলাকালীন তৃণমূলকর্মীদের হাতে খুন হওয়া বিজেপিকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের চোখে চোখ রাখতে পারবেন না মমতা। সেই সাহস তার নেই। তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।’
দিলীপ ঘোষ তীব্র কটাক্ষের স্বরে আরো বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর দিতেও ভয় পান মমতা। সেই খুনের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাশ কেটে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। সে কারণেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন না দিদি।
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রথমে সাড়া দিয়ে বলেওছিলেন, সাংবিধানিক সৌজন্য রক্ষার জন্যে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ।
কিন্তু পরমুহূর্তে যখন শুনলেন শপথ অনুষ্ঠানে রাজ্যে খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের পরিবার বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হয়েছেন, , সে মুহূর্তে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে টলে গেলেন ।
টুইটারে একান্ত মনের ভাব প্রকাশ করেন দিদি…
‘আমি গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখছিলাম যে বিজেপি দাবি করেছে বাংলায় রাজনৈতিক সহিংসতায় ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলায় কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। ওই সব হত্যাকাণ্ড ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব বা অন্য কোনো বিরোধের কারণে হয়ে থাকতে পারে। এর কোনোটির সঙ্গেই রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।’
এর পর আবার সেই সৌজন্য প্রকাশ – ‘তাই আমি দুঃখিত, নরেন্দ্র মোদি জি, অনুষ্ঠানে না থাকতে এটি আমাকে বাধ্য করল।’