তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সর্বস্বান্ত হতেও রাজি আছেন বলে মন্তব্য সাধারণ জনতার।
কেরল, পাঞ্জাবের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করার জোর উদ্যোগ।
বিরোধীরা রাজি হয়ে গেলে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত করে বিধানসভাতেও সিএএ’র বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করা হবে।
স্পষ্ট ইঙ্গিত এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সিএএ’র বিরুদ্ধে একজোট করতে চাইছেন দেশের প্রত্যেক রাজ্যগুলোকে।
তিনি বলেন, “সব রাজ্যেরই উচিত বিধানসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানো। সকলকে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”
এদিকে এনপিআরের বিরুদ্ধেও জোরদার আন্দোলন শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর রাজ্যে না এনআরসি হবে, না সিএএ আর না এনপিআর! কোন কিছু নয়। শুধু তিনি থাকবেন। এমনই জানাচ্ছেন বঙ্গের এক মহিলা।
মমতা বিজেপি শাসিত অসম, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মণিপুর ও মেঘালয় সহ দেশের বিজেপি-বিরোধী সব মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে আহ্বান জানালেন, ” এনপিআর বিষয়টি বিবেচনা করতে বলছি। কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা বৈঠকে আপনাদের সঙ্গে চালাকি করা হয়েছে।’’ এই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা চাইলে কলকাতায় আমরা এ ব্যাপারে বৈঠক ডাকতে পারি।’’
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ঠোঁট কাটা দিলীপ ঘোষ সরাসরি উত্তর ২৪ পরগণার সভামঞ্চ থেকে জানিয়ে দিয়েছেন, যারা সিএএ-র বিরোধিতা করছে তাঁরা প্রত্যেকে ‘বাঙালি বিদ্বেষী’।
মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করে রবিবার আরো বললেন যে, পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত ১ কোটি বাংলাদেশি মুসলমানকে ফেরত পাঠানো হবে।