কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বরাবরই ব্যবসার আইডিয়া দেন। পুজোর (Durga puja) আগে এবারও দিলেন। অনেক রকম ব্যবসায়িক চিন্তাধারা তাঁর মাথা থেকে বেরিয়ে আসে।
এবার দুর্গা পুজোতে (Durga puja) চা-বিস্কুট, ঘুঘনি, ঝালমুড়ির মতো ব্যবসার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। খড়গপুরের সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি যখন পুজোর সময়ে রাস্তা দিয়ে যাই কাশফুল আমাকে আকর্ষণ করে। এই কাশফুল তুলো থেকে অনেক হাল্কা। গ্রাম অনেক জিনিস আছে যা দিয়ে অনেক ব্যবসা হতে পারে।
কাশফুল তুলে আঁঠা লাগিয়ে, যাতে ঝরে না যায় তা নিয়ে ফুলদানির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কাশফুল অনেকে পছন্দ করেন বাড়িতে রাখতে।”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগে তো চপশিল্প, আরো অনেক কথাই বলেছিলেন। এবার যা বললেন সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবং জনগণ ভীষণভাবে সমালোচনাই করছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee) আরও বলেন, “আগে বললে অনেকে আমাকে টোন-টিটকিরি করতেন, তাঁরা আজ বুঝবেন। আপনি এক হাজার টাকা জোগাড় করে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিন। তার পরের সপ্তাহে মাকে বলুন ঘুঘনি তৈরি করে নিন। তার পরের সপ্তাহে তেলেভাজা নিন।
একটা টুল আর একটা টেবিল নিন। এতো বিক্রি হবে যে কুলোতে পারবেন না। পুজোর সময়ে বাংলাতে অনেক লোক ঘুরতে আসবে। দরকার হলে একটা ঝালমুড়ির কৌটো নিয়ে নেবেন। একটু বাদাম-ছোলা দিয়ে দেবেন। দারুণ বিক্রি হবে। একটু বুদ্ধি বের করুন, অনেক কাজ হবে।”
খড়্গপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee) আরও বলেন, “কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। মানুষ মাটি থেকে উঠে আকাশ ছুঁয়েছে। আপনি একটা স্কিল ট্রেনিং নিয়ে এলেন। ধরুন, আপনি বিউটি ফ্যাশন ট্রেনিং নিয়ে এলেন।
সেই বোনটিকে বলব তার বাড়িতেই ছোট একটা জায়গা করে একটা দোকান করুন তো। প্রথম ১-২ জন আসবে, তারপরে দেখবেন গ্রামের সবাই আসতে থাকবে। কিন্তু একটু খেটে খেতে হবে। আমি স্কুলের শিক্ষকতা প্রয়োজন হলে করবেন। বিশ্ব বিদ্যালয়ে ১০ হাজার অধ্যাপক নেওয়া হবে। এই যে শিল্প হচ্ছে, আপনার বাইরে খোঁজবার দরকার নেই।
টাটা মেটালিক্স বিনিয়োগ করলে আরও এক হাজার লোকাল ছেলের চাকরি হতে পারে। স্কিল ট্রেনিংয়ে বাংলা ১ নম্বর। স্কিল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর চাকরি হয়েছে।”