“ভারতবর্ষে ধর্মের নামে চলছে ধর্মান্ধতা। দেশের যদি টাকার প্রয়োজন পড়ে, কোথায় পাবেন সে টাকা? সব খেয়ে বসে আছে। কাশ্মীর নিয়ে এত কাণ্ড, কেউ কথা বলতে পেরেছেন, পারবেন না, কাউকে কথা বলতে দেয়নি, বন্দুকের নল দিয়ে চেপে রেখে দিয়েছে। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের তেঁতে ওঠেন বিজেপির বিরুদ্ধে। জানিয়ে দেন, জেলে যেতে রাজি আছেন, কিন্তু কখনোই গেরুয়া দলের সঙ্গে আপোস করবেন না। এবার আরেক নতুন কৌশল আবিষ্কার করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যুব সমাজকে রাজনীতিতে শক্তপোক্তভাবে নিজের হাতে গড়ে তোলার জন্যে তাঁদের ক্লাস নেবেন ঠিক করেছেন!
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ৩৫এ ধারা বিলুপ্তি এবং অন্যদিকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের গ্রেফতারি পদ্ধতিকে প্রথম থেকেই গালাগাল দিয়ে আসছেন। নাক কুচকোচ্ছেন। সভায় এদিন ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, দুঃখী কাশ্মীরবাসীদের সঙ্গে তিনি রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার মতে ভারতে নেই গণতন্ত্র, দেশ আজ পরাধীন হয়ে গেছে। তাই বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে মুখোমুখি যুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রস্তুত করার জন্যে এবার কোমর বেঁধে কাজে নামবেন, এমনই হুংকার শোনা গেল তাঁর মুখে।
Foundation Day of Trinamool Chhatra Parishad | তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস #TMCPFoundationDay #StudentsWithDidi https://t.co/GkeudSVkbR
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 28, 2019
আগামি ১৪/১৫ নভেম্বর তারিখে রাজ্যের কলেজের ছাত্র পরিষদের পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে এক আলোচনাসভায় অংশ নেবেন। এবং তাঁদের মধ্যে থেকে কে কেমন কাজে আগ্রহী, সবুজ ফর্মে নাম, ছবিসহ লিখে জানিয়ে দিতে আদেশ দিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামি বিধানসভা নির্বাচনের জন্যে যুব-সমাজকে হাতিয়ার করবেন, ভেবেই নিয়েছেন।
এদিকে নাম উচ্চারণ না করে মুকুল রায়কে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘বলে ১০৭ জন বিধায়কের নাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগে ৭ জনের নাম বার কর। এত সস্তা না। আমরা বাংলায় লড়াই করি। তাই ওদের বাংলা চাই। আজ আমার ভাইকে ডেকেছে। কাল আমাকে ডাকবে। আমি জেলে যেতে রাজি আছি, কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মানতে রাজি নই।’
এদিকে সম্প্রতি মুকুলবাবুও মুদির দোকানে মমতার চা বানানো প্রসঙ্গে তীব্র শূল হেনেছেন। তিনি মমতাকে ‘ভণ্ড’ উল্লেখ করে বলেছেন, মমতা পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে নিজে হাতে গলা টিপে হত্যা করেছেন। সুতরাং কোন ভণ্ডামি তাঁর চলবে না। জনতা বোকা নয়।
মমতা যতই গলায় জোর এনে কথা বলুন না কেন, গেরুয়া দল মোটেই বসে নেই। সম্প্রতি চিটফান্ড তদন্তে গতি বাড়িয়েছে সিবিআই ও ইডি।
শতাব্দী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ডেরেক ও ব্রায়েনদের মতো তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতাদের ডেকে নিয়ে জেরা করছে।
এ ব্যাপারে বিজেপি মুখপাত্র সায়ন্তন বসু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, চুরি ধরা পড়লেই বলা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তৃণমূল যে চিটফান্ড তথা গরিবের টাকা লুঠ করেছে বাংলার শিশুরাও জানে! তাঁর কথায়, চিদম্বরমকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেখে ঘুম চলে গেছে তৃণমূলের অনেকেরই। কিন্তু এ সব কুমির কান্নায় আর কোনও কাজ দেবে না।