তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক স্থিতি নিয়ে জনসাধারণের মনে যথেষ্ট ধোঁয়াশা। আসলে তিনি যে কখন কি বলছেন, কখন কি করছেন তার স্থিরতা নেই! বর্তমান সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাজ আন্দোলন, এনআরসি মানছি না, মানবো না, ক্যাব মানছি না, নরেন্দ্র মোদি হুঁশিয়ার’ স্লোগানে আকাশ-বাতাস উত্তাল করে তুলেছেন।
এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় স্বয়ং মমতাকে আক্রমণের জন্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে নিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটো ভিডিও ক্লিপ একইসঙ্গে ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ।
সেখানে একটি ক্যাপশনও লিখেছেন তিনি: “ভিডিওটি বিশ্লেষণ করলে যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।”
Double standard of Mamata on CAB
Double standard of Mamata on CAB
Posted by The Frustrated Bengali on Saturday, 14 December 2019
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ সালে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন মমতা। অনুপ্রবেশ মানেই বিপর্যয়! বলেন তিনি।
পরবর্তী ক্লিপিংয়েই দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তৃতা, যেখানে এনআরসি ও ক্যাবের বিপক্ষে সরাসরি বক্তব্য রাখছেন তিনি।
এবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কোন স্থিতিতে বিশ্বাসী হবে জনগণ?
মমতা ব্যানার্জী যে স্পষ্টভাবে দ্বিচারিতা করছেন, তা প্রমাণ করলেন রাজ্যপাল।
আইন পাশ হলেও গণআন্দোলন গড়ে তুলে মমতা জানিয়ে দিচ্ছেন, তিনি কোনভাবেই পশ্চিমবঙ্গে ক্যাব অথবা নাগরিকপঞ্জি মেনে নেবেন না।
গতকাল, মঙ্গলবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি শপথ নামা পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এবং সাথে সাথে সকল জনগণও শপথবাক্য পাঠ করেছেন এদিন। জনসমুদ্রের গর্জন যাদবপুর থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
হুংকার মমতার “সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে বিল পাস করলেও মানুষের সমর্থন ছাড়া এই বিল কার্যকরি হবে না”।
এই নতুন আইন এবং প্রস্তাবিত এনআরসি, কোনওটাই এ রাজ্যে কার্যকর করতে দেয়া হবে না বলে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এদিন যদুবাবুর বাজার থেকে মমতা বিজেপিকে “আমরা সবাই নাগরিক, নাগরিকে নাগরিকে ভেদাভেদ করা যাবে না। আমাদের সকলের সমান অধিকার। বিজেপি পারবে না, বিজেপি হার মানতে বাধ্য হবে। বাঁচাও বাঁচাও বলে পালাবার পথ পাবে না ওরা।”