বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত বাণী ‘পরে করব বলে কোন কাজ ফেলে রাখতে নেই’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই একই পথে হাঁটছেন বোঝা যাচ্ছে।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে যদি জনগণের বিপদ-আপদের কথা মাথায় নিয়ে সারা গ্রাম ঘুরে বেড়ান, সেখানে জটিলতা বাড়বে বৈ কমবে না। ফলে দিদির জনসংযোগ বৃদ্ধির এটাই যথার্থ সময়।
সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে ফেরার পথে হঠাৎ বর্ধমান শহরের কাছে উল্লাসের দাসপাড়ায় এক আদিবাসীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের অভাব–অভিযোগ শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে প্রতিবেশী আদিবাসী মহিলারাও ছুটে আসেন।
চায়ে পে চর্চা হয়ে গেল। শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ। বাচ্চদের একটু আদর-যত্নও করলেন। চা খেতে খেতেই মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমরা বাড়িঘর পেয়েছ? তোমরা রেশন পাও তো?’
ঝর্না জানান, তিনি বাড়ি পাননি। একটি বাড়িসহ তাঁর ছাগল চাই ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে কার কার ছাগল চাই, প্রত্যেকের নাম খাতায় টুকে নিলেন। এবং তাঁদের আশ্বাস দেন, মাথাপিছু ৫ টি করে ছাগল দেবেন এবং সঙ্গে বাড়িও!
বিষয়টি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে এ বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন মমতা।
ইছলাবাদ বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠটি অর্ধেক অংশ বিদ্যালয়ের বাকি অর্ধেক বর্ধমান পুরসভার। মুখ্যমন্ত্রীকে এ কথা আগেও জানানো হয়েছিল, তবে এদিন ফের বলা হল। বাংলার দিদি গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে মৌখিক আশ্বাস দিয়ে গেলেন মাঠের ব্যবস্থাটি তিনি করবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভিডিও ভাইরাল হবার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগের বন্যা বয়ে যায়।
কারণ সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ নামক যে ইমেল তিনি চালু করেছেন, সেখানে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানিয়েও কোন উত্তর পাননি মমতার।
দিদির সোশ্যাল পেজে এমনও লিখেছেন অনেকে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সব কাজই ভবিষ্যতের হাতে অর্পিত। বর্তমানে কিছুই নয়!
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের মন্তব্য তাহলে সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। ভণ্ডামি করে চেয়ার বাঁচাতে পারবেন না মমতা। কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে নিজে হাতে হত্যা করেছেন।