পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিলেন বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তাররা ।
এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আজ মুখ্যমন্ত্রী। ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। না হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘‘আজকের মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। এনাফ ইজ এনাফ। মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। দমকল যদি বলে আগুন নেভাব না, পুলিশ যদি বলে কাজ করব না— সেটা হতে পারে না’।
এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই এনআরএস হাসপাতালে জেনারেল বডি (জিডি) মিটিং করেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।
এই তীব্র হুঁশিয়ারিতে পিছিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, উলটে তাঁরা কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন ।
মুখ্যমন্ত্রীকে চাইতে হবে ক্ষমা । নইলে আন্দোলন কোন মতেই প্রত্যাহার করা যাবে না ।
কারণ মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও বহুবার ডাক্তারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে ভুলিয়েছেন । কিছুতেই কিছু হয়নি । দিনের পর দিন ধরে চিকিৎসকেরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন ।
আর নয় ! দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে । এবার চাইতে হবে নিঃশর্ত ক্ষমা । নইলে মুক্তি নেই !
দু-পক্ষের এই টানাপোড়েন চলাকালীন অবস্থায় সম্প্রতি একটি খবর পাওয়া গেল,
এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়েছেন । রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজভবনের গেটে তাঁরা জানান যে, রাজ্যপালকে পুরো বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেন। রোগিদের পরিষেবা দিতে তাঁরা প্রস্তুত। রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানালেন ।
ইতিমধ্যে, কোন কোন হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা চালু হয়েছে ।