কলকাতা: বাংলা (west bengal) কি সত্যিই তার মেয়েকে চায়? সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুলভাবে একটা প্রশ্ন উঠছে। জীবনে আনন্দও লাগবে, এটাও জরুরি। আর বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো (durga puja)।
কিন্তু… বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের (durga puja) অবস্থার প্রেক্ষাপটে বারবার প্রশ্ন উঠছে অনুদানের অঙ্ক নিয়ে।
নেটিজেনরা কী ভাবছেন এ নিয়ে, কয়েকটি মন্তব্য তুলে ধরবো:
#পূজার (durga puja) চারদিন আনন্দ করে নাও তার পর সারা বছর কি খাবো ,কি হবে এই সব ভেবে দিন পার করে দিও।
#আমরা বেকার, পেটে ভাত নেই, পড়াশোনা করেছি অনেক কষ্টে, এখন খিদে পেটে আনন্দ কীভাবে?
# কাজ চাই, অনুদানের কথা পরে।
#কাকে বলবো?
#খুবই শোচনীয় পরিস্থিতিতে আমরা।
# বেকারত্ব-এর যন্ত্রনা আমাদের দিনদিন গ্রাস করছে।
অনেকে এও বলছেন সরকারি কর্মচারিরা নাকি ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না। অনেক অভিযোগ এমন জমা পড়ছে।
আর আর্থিক অবস্থা যে ভালো না, তা সোমবার বিকেলে নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বলেছেন, “ভাঁড়ার শূন্য”। তবু বাঙালির (bengali) প্রিয় দুর্গোৎসবের (durga puja) জন্য ক্লাবগুলিকে যে অনুদান দেওয়া হয়, তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)।
সে নিয়ে তীব্র চর্চা চলছে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে (west bengal)। মানুষের হাহাকার, কাজ নেই, এটা নেই ওটা নেই, এত নেই নেই্য মাঝে এত টাকা বেরোচ্ছে ওদিক থেকে।
আগে দেওয়া হত ক্লাবপিছু ৫০ হাজার টাকা করে। এই বছর শূন্য হলেও আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে (west bengal) মোট ৪০ হাজার ৯২ টি ক্লাবকে অনুদান দেওয়া হয়। হিসেব মতো, এই সব ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে গেলে মোট যা খরচ পড়বে, সেটা হচ্ছে ২৪০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
পরিসংখ্যান বলছে, যে পরিমাণ টাকা পুজোয় শুধু অনুদান হিসেবে বিলি করছে রাজ্য সরকার, তা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারের বাজেট বিবৃতিতে একাধিক ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আর্থিক বরাদ্দের তুলনায় অনেক
বেশি।
এবং জনগণ এও বলছে, এবার কোনো চাঁদা দেয়া হবে না পুজোয় (durga puja)। আগে জিগাসা করা হবে অনুদান পেয়েছে কিনা।
একে দুর্নীতির অভিযোগ, তার মধ্যে এখন এই অনুদান প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনার মুখে তৃণমূল।
বঙ্গ (bengal) বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে পুজো-পুজো রব তুলে দিয়ে চোর-চোর রবটা পিছনে চলে যায়। অনুদান দিচ্ছেন ভাল কথা। কিন্তু তার সঙ্গে মহার্ঘ ভাতাও দিন।
রাজ্য সরকারের কিছু প্ল্যানড খরচ থেকে, কিছু আনপ্ল্যানড খরচ থাকে। রাজ্য সরকার যদি ৬০ হাজার টাকা করে দিতে পারে, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। ৬০ হাজারের জায়গায় যদি ১ লাখও দেন, আমরা স্বাগত জানাব। তার সঙ্গে, যেগুলি প্ল্যানড, যেগুলির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হতে পারে, রাজ্যের জিডিপি বাড়তে পারে, সেই ধরনের পদক্ষেপও করা উচিত।”