বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, বিশেষভাবে সক্ষমরা যাতে সহজে পুজো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিশেষ পাসের বন্দোবস্ত করতে পশ্চিমবঙ্গের পুজো উদ্যোক্তাদের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি ক্লাবের সঙ্গে যুক্তদের বা পাড়ার লোকেদের সুবিধার জন্য ‘কার্ড’ এর মাধ্যমে ছাড়ের আবেদন করেছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। সেই আর্জি মেনে ‘ক্লাব ইনভাইটি’ বা আমন্ত্রিত কার্ডের অনুমোদন দিতেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
দিন পাঁচেক আগে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুলিশ-পুরসভা ও পুজো কমিটিগুলির বৈঠকে সাধারণ মানুষের কোনও রকম অসুবিধা যাতে না হয়, তাই ‘ভিআইপি পাস’ উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এরপরই বড় বড় পুজো কমিটিগুলির কর্তারা বিভিন্ন মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কিছু আর্জি জানিয়েছেন। রাজ্যের প্রায় সব মন্ত্রী বড় বড় পুজোর সঙ্গে যুক্ত। তাদের কাছেও ফোরামের সদস্যরা আবেদন রাখেন।
বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশাপাশি অনাথ, দুঃস্থ বা শারীরিক, মানসিকভাবে অক্ষম মানুষদের পুজো দেখার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন সংগঠন এই ব্যবস্থায় পুজো কমিটিগুলিকেও যুক্ত করে। ‘ভিআইপি পাস’ উঠে গেলে তাদের মণ্ডপ-প্রতিমা দেখা কঠিন হয়ে যাবে। মূলত এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী ফোরামের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন।
এছাড়াও একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত স্পনসর ও ক্লাবের শুভাকাঙ্ক্ষীরা যাতে সহজে ঠাকুর দেখার সুযোগ পান, সে ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন পুজো কর্তারা। হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন আদালতের বিচারপতি বা বিচারকরা অনেকেই নিরাপত্তার খাতিরে ভিড়ে না গিয়ে ঠাকুর দেখতে চান। ভিন রাজ্যের বিশেষ অতিথিরাও আসেন। রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
অন্য একটি সূত্রের মত, ‘ভিআইপি পাস’ না পেলে ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ কমে যেতে বাধ্য। পাড়াতেই অনেকের বাড়িতে আত্মীয়রা আসেন। তাদেরও সহজে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করে দিতে হয়।
এই ক্ষেত্রে ‘ক্লাব ইনভাইটি’ বলে একটি পাস দেওয়া যেতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন।