পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙবেন তবু মচকাবেন না। পশ্চিমবঙ্গে ভয়ংকরভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা। এদিকে অব্যাহত রয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মাঝে করোনা নিয়ে ঝামেলা।
করোনা যখন রাজ্যে শীর্ষে উঠছে গ্রাফের, সে সময়ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, রাজ্য কেন্দ্রের ‘কেনা গোলাম’ নয়।
তৃণমূল সুপ্রিমো বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন, কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রায় ৬ ঘন্টার ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের কোভিড-১৯ এর বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পরিস্থিতি নিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় এদিন।
মোদি এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, যারা নিজেদের মতামত ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেননি, তাঁরা যেন ১৫ মে’র ভিতর সমস্ত প্রয়োজনীয় বার্তাগুলো জানিয়ে দেন। কেন্দ্র দেশের সব রাজ্যের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছে এবং করবে। মোদি কনফারেন্সে করোনা প্রতিরোধে রাজ্যের পদক্ষেপ-কাজের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সব রকম সহযোগিতায় তৈরি। কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কেন্দ্র ‘ডজন ডজন’ নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে, কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে।
কিন্তু এর আগেও দেখা গেছে, মমতা কোনভাবেই কেন্দ্রকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি!
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থায় কেন্দ্রকে কোনভাবেই সাহায্য করছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা। যেখানে বাকি রাজ্যগুলো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে একইসঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে হাতজোড় করেও অনুরোধ জানিয়েছিলেন এর আগে, করোনার এই ভয়ংকর সময় সবরকম রাজনীতি বাদ দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো যেন কেন্দ্রের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করেন!
একদিকে মারাত্মক সার্স কোভ-২ অন্যদিকে মমতা-মোদির এহেন যুদ্ধে রাজ্যবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।