প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেত্রীর প্রয়াতে শোকের ছায়া গোটা রাজনৈতিক মহলে।
শোক ব্যক্ত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা তাঁর নিজের ট্যুইটারে শোক ব্যক্ত করে লিখেন, “শীলা দীক্ষিত জির প্রয়াণে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমি যখন সাংসদ হয়েছিলাম তখন উনি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। উনি সব সময় আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। আমরা উনার অভাব অনুভব করবো”।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত-র মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। শুক্রবার, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১২ সাল থেকে হার্ট সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বছর দুয়েক আগে বড়সড় অস্ত্রোপচারও হয় তাঁর।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ মৃত্যুর খবর জানায় শীলা দীক্ষিতের পরিবার।
বর্তমানে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেত্রী। দিল্লির সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নজির রয়েছে। ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০০৮ সাল পরপর তিন বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন শীলা দীক্ষিত।
এরপর ২০১৩ সালে নির্বাচনে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে পরাজিত হন তিনি। যদিও সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার থেমে থাকেনি।
বর্ষীয়ান এই নেত্রী ২০১৪ সালে কেরলের গর্ভনর করা হন। ওই বছরে মে-মাসে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে মোদি সরকার। আর অগস্টেই গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও করে। পরবর্তীকালে সেই পদ থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করেন শীলা দীক্ষিত।
শীলা দীক্ষিতের জন্ম ১৯৩৮ সালে অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবে। পড়াশোনা করেন দিল্লির কনভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রী পান শীলা-জি।
শীলা দীক্ষিত-জির প্রয়ানে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমি যখন সাংসদ হয়েছিলাম তখন উনি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। উনি সবসময় আমার সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। আমরা ওনার অভাব অনুভব করবো
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 20, 2019