কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণিতে গত ১৬ আগস্ট আরসালানের জাগুয়ার সজোরে একটি মার্সিডিজকে ধাক্কা দিয়ে মইনুল আলম ও ফারহানা ইসলাম তানিয়াকে চাপা দেয়।
এই ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে। আরসালান পারভেজ নয়, শেক্সপিয়ার সরণির দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালাচ্ছিল তাঁর দাদা রাঘিব পারভেজ। প্রযুক্তিই ধরিয়ে দিয়েছে তাকে!
লালবাজার পুলিশের কাছে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্য। বুধবার রাঘিবকে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার একটি নার্সিংহোমের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দিনই রাঘিব পালিয়ে যান দুবাই।
কলকাতায় ফিরে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় গতকাল।
বুধবার যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পর জাগুয়ার গাড়ির প্রযুক্তি পরীক্ষা করে যে নম্বরটি পাওয়া যায় সেটি ছিল রাঘিবের। ডেটা পরীক্ষা করে জানা যায় ঘটনার দিন গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল রাঘিবের হাতে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির এয়ারব্যাগ বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা থেকে অনেকটা স্প্লিন্টারের মতো ছিটকে বের হয় সিলিকনের কণা। দুর্ঘটনা সংঘটিত করা গাড়ি চালকের মুখে আটকে যায় ওই সিলিকনের টুকরো। সারা মুখ লাল হয়ে যায়। কয়েকদিন থেকে যায় যে চিহ্ন। সে পরিপ্রেক্ষিতে ধৃত আরসালন পারভেজের মুখে এই চিহ্ন থাকার কথা ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তার মুখে এসব কিছুর চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, আশেপাশে প্রায় ৪৫টির মতো সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায় একটি ছেলে দৌড়ে পালাচ্ছে। শেক্সপিয়র সরণি থানা হেঁটে পেরিয়ে যাওয়ার পর সে কলামন্দিরের দিকে দৌড়তে শুরু করে।
এরপর তার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেও দেখা গেছে দুর্ঘটনার দিন সে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল।
যুগ্ম কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, জেরায় রাঘিব তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।