ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা মহম্মদ ইজাজকে ওরফে ইজাজ আহমেদকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
রবিবার বিকেলে তাকে বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এসটিএফের দাবি, বেঙ্গালুরু থেকে খাগড়াগড়-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কওসর গ্রেফতার হওয়ার পর সংগঠনের প্রধান হিসাবে কাজ করছিল ইজাজ। বুদ্ধগয়াতে ২০১৮ সালে দলাই লামার সফরের সময়ে বিস্ফোরণের গোটা পরিকল্পনায় অন্যতম প্রধান চক্রী ছিল সে।
সূত্রে খবর, কওসরকে জেরা করে ইজাজের সম্বন্ধে প্রথমে জানতে পারে এসটিএফ। কিন্তু কোথায় তার সন্ধান পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কিছু জানা যাচ্ছিল না।
অবশেষে দিন কুড়ি আগে সূত্র মারফত কলকাতা পুলিশ খবর পায় যে, বিহারে আত্মগোপন করে রয়েছে ইজাজ। এরপরই আইবি-র সাহায্য চাওয়া হয়। দিন চারেক আগে গয়া যায় এসটিএফ-এর একটি দল। গয়ার একটি বাড়িতে ইজাজের আত্মগোপন করে থাকার খবর নিশ্চিত হতেই, গয়া পুলিশের সাহায্য নিয়ে শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় ইজাজকে।
কিন্তু, গ্রেফতারের পরই শুরু হয় আসল নাটক। চোস্ত ইংরেজি বলা ইজাজ নিজেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দেয়। এতেই ধন্দে পরে যায় এসটিএফ ও আইবি। গয়া থেকেই তারপর ভিডিও কল করা হয় এনআইএ-কে। সেখান থেকেই কওসর চিনিয়ে দেয় এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ইজাজকে।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের বাসিন্দা ইজাজ কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ার। বছর সাতেক আগে কওসরের সঙ্গে দেখা হয় তার। কওসরের কাছেই প্রশিক্ষণ নেয়। আইডি তৈরি থেকে জঙ্গি নিয়োগ সব বিষয়েই হাতেখড়ি হয়। ধীরে ধীরে ‘দক্ষ’ হয়ে ওঠে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ থেকে গয়া বিস্ফোরণ সবেতেই হাত রয়েছে এই ইজাজের। কওসরের গ্রেফতারির পর সংগঠনের দায়িত্ব পায় সে। জেএমিব-র অন্যতম মাথা সালাউদ্দিনের সঙ্গে সরাসরি কথা হত ইজাজের।
ধৃতের কাছ থেকে স্যাটেলাইটে ফোন, জেহাদি নথি, ল্যাপটপ ও বেশকিছু সার্কিট বোর্ড উদ্ধার করেছে এসটিএফ।