দুর্ঘটনা কখন কি রূপে আসে, তার হদিশ পাওয়া যায়না। কিন্তু নিজের সাবধানতাটুকু যদি না থাকে, তবে ঘটনা ঘটে যাবার পর আর নিজেকে সান্ত্বনা দেবারও পথ থাকবে না।
সকালে যখন একটি নতুন দিনের আশায় জীবনের পথ চলা শুরু হয়, ঠিক সে সময়ই টালিগঞ্জের করুণাময়ীর কাছে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনাটি।
টালিগঞ্জে যাত্রার উদ্দেশ্যে হাওড়াগামী একটি সরকারি বাসে উঠেছিলেন উত্তম কর্মকার। বাসে জানলার বাইরে হাত রেখে বসেছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথানুযায়ী, উত্তমবাবু বাসের বাঁ-দিকে বসে জানালার বাইরে হাতটি মেলে রেখেছিলেন।করুণাময়ীর কাছে এসে ঘটে যায় বিপত্তি। একটি বাড়ির দেওয়ালে তাঁর হাতটি তীব্রভাবে ঘষে যায়। এবং ঘর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে কনুই থেকে হাতের অংশ কেটে রাস্তায় পড়ে যায়! উফ! কি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল আজ কলকাতাবাসী।
ঘটনার খবর পেয়ে শীঘ্রই সেখানে পৌঁছে যান ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। গুরুতর অবস্থায় উত্তমবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সৌভাগ্যক্রমে তাঁর প্রাণ রক্ষা পেয়েছে, কিন্তু কাটা হাত আর জোড়া লাগবে না ।
উত্তম বাবুর জন্যে এলাকাবাসী শোকগ্রস্ত। হঠাৎই তাঁর জীবনে নেমে এল অভিশাপ।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাসে বসে যাত্রীরা কেন জানালার বাইরে হাত মেলে রাখবেন? শুধুই কি দেয়ালে ঘর্ষণ, ঘটে যেতে পারত মারাত্মক ঘটনা।
পথে চলাফেরা, যান-বাহনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিজেদের সাবধানতা সর্বদা নিজেকেই অবলম্বন করতে হবে।