মার্চের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত দিল্লির নিজামুদ্দিনে চলেছে তবলিগি জামাতের অনুষ্ঠান। এসেছিলেন ৬৭ দেশের ধর্ম প্রচারক বা বিশেষ প্রতিনিধিরা। ভারত থেকে যোগদান করেছিলেন উক্ত অনুষ্ঠানে প্রায় ৭হাজারের ওপর মুসল্লি। এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম থেকে গিয়েছিলেন প্রায় ৫০৩ জন!
শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান শেষেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশিরা এবং দেশিয়রাও অবস্থান করছিলেন নিজামুদ্দিনে। এবং বিদেশি প্রতিনিধিরা ভেঙ্গেছেন ভিসার নীতিও!
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এ পর্যন্ত অসম, মণিপুর, অরুণাচলে যে সমস্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ কেস পাওয়া গেছে, অধিকাংশ নিজামুদ্দিন ফেরত। এখানেই শেষ নয়, মুসল্লিরা উন্মত্ত হয়ে পড়েছেন! তাঁরা সাহায্য করছেন না চিকিৎসকদের। কোয়ারেন্টাইন কক্ষে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে অশ্লীল ইঙ্গিত করছেন। ঘোরাফেরা করছেন উলঙ্গ হয়ে। অসমের গোয়ালপাড়ায় চিকিৎসাকর্মীদের ওপর থু ছিটাচ্ছেন!
এহেন ভয়ানক পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সমাবেশে যোগদান করা এক একটা মুসল্লি মানববোমা! এর আগে সাংসদ নুসরাত জাহানও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে এরাই।
উল্লেখযোগ্য যে, নিজামুদ্দিন ফেরত ব্যক্তিদের উদ্দেশে কেন্দ্র কঠোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যসরকারগুলোকে। যেন তাঁদের খুঁজে বের করে শীঘ্রই কোয়ারেন্টাইন করা হয়। কারণ ধর্মান্ধরা কেউই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরা দিচ্ছেন না!
সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা, ক্ষোভের ঝড় উঠেছে ধর্মান্ধ মুসল্লিদের বিরুদ্ধে। কারণ এঁরা ওয়াজ প্রভৃতিতেও বরাবরের মতো বিভিন্ন দেশের আবেগ নিয়ে কথা বলছেন অত্যন্ত অভব্য ভাষায়।
সচেতন, সতর্ক জনগণ তটস্থ হয়ে পড়েছেন মুসল্লিদের আচরণে।