দিদির রাজ্যে আর কদ্দিন চলবে কাটমানি? এবার নয়দিক পূর্ণ করে কাটমানি হানা দিল বিদ্যালয়ের কচি কচি পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলেও!
সোশ্যাল মিডিয়া ভরে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের ধিক্কারে।
“কেন্দ্রীয় সরকারের মিড ডে মিল প্রকল্পে আজ কাটমানির থাবা। মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় সিন্ডিকেট রাজে কাটমানি প্রকল্পের দৌলতে ছোট ছোট শিশুদের মুখে শুধু নুন ভাত তুলে দিচ্ছে!” এর থেকে দুর্ভাগ্য জনক আর কিছু হতে পারেনা।
শাণিত ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। “মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় কাটমানিতে আজ এগিয়ে বাংলা ছিঃ!”
স্কুলের মিড ডে মিলের হিসেব বলছে মোট ৫ হাজার ডিম কেনা হয়েছে ছাত্রীদের খাওয়ানোর জন্য। আর সে স্থানে প্রতিদিনই তাদের পাতে পড়ছে সেদ্ধ ভাত আর নুন। দুর্নীতির এমন খবর পূর্বেই ছিল। সোমবার হুগলির একটি স্কুলে হানা দিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
অন্যায়, দুর্নীতিকার্য সংঘটিত করার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন টিচার ইন চার্জ শমিতা কুশারি এবং বর্তমান টিচার ইন চার্জ পূর্বা মুখোপাধ্যায়কে।
এদিকে চুঁচুড়ার বালিকা বাণী মন্দির স্কুলের তরফ থেকে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ডিমভাত তো দূরের কথা, খাওয়ানো হচ্ছে ফ্যানা ভাত নয়তো আলু সেদ্ধ ভাত!
এছাড়া দেখা গেছে, মিড-ডে মিলের আড়াইশো বস্তা চাউল গায়েব!
এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন লকেট চ্যাটার্জী।
এই ঘটনার পর জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। জেলার এক হাজার স্কুলে মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
একদিকে বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় চলে আসছে, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী কোমর বেঁধে কাজে নেমেছেন, যেভাবেই হোক জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। তা ভাষা দিয়েই হোক কিংবা বাড়ি বাড়ি ঘুরে দুর্ভাগাদের নিজের মুখে তাঁদের দুর্দশার কথা শুনে।
আদৌ এ সমস্ত কার্যে দিদি সফলতার তরীতে উঠতে পারবেন, নাকি লোকসভা নির্বাচনের মতোই ফের ভরাডুবি হয়, তা সময়ই বলে দেবে।